মাস্ক না পরার শাস্তি! পাঠানো হলো মানসিক হাসপাতালে



Odd বাংলা ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে স্বদেশি-বিদেশি সবার জন্যই নাগরিক আইন বেশ কঠোর। মহামারির সময় এই আইনের সঙ্গে মাস্ক পরাসহ যুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। না মানলে জরিমানা তো বটেই, জেলে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।


এই আইনের মারপ্যাঁচে পড়েই এবার মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে মাস্ক পরার ঘোর বিরোধী এক ব্রিটিশ নাগরিককে। মাস্ক না পরার জেরে আদালতে গিয়ে তুমুল যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। আর তাতেই ওই ব্রিটিশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহ জাগে বিচারকের। ফলাফল, তাকে পাঠানো হয়েছে মানসিক হাসপাতালে।


ব্রিটিশ নাগরিকের নাম বেঞ্জামিন গ্লিন। তার বয়স ৪০ বছর। তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু গত মে মাসে। ওই সময় মাস্ক ছাড়াই ভিড়ভাট্টার ট্রামে তার ভ্রমণ করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। পৌঁছে যায় তার বাড়িতে। সেখানে বাধে আরেক বিপত্তি। মাস্ক না পরার পক্ষে যুক্তি দিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।


সব মিলিয়ে গ্লিনের বিরুদ্ধে এখন একাধিক অভিযোগ। স্বাস্থ্যবিধি না মানার দোষ তো আছেই, পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছে। আরো রয়েছে জনসমক্ষে হেনস্থা এবং উপদ্রব তৈরির অভিযোগ। মহামারির মাঝে সিঙ্গাপুরে এ ধরনের প্রতিটি অভিযোগের ক্ষেত্রে ছয় মাসের জেলের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.