Odd বাংলা ডেস্ক: মৃতদেহটির জাত কী? কোনও দিন জানতে চায়নি শারাফাত। সে চুপচাপ তার কাজ করে গিয়েছে। যদিও স্থানীয় সবাই তাঁকে কাল্লু বলে। মুম্বইয়ের ধারাবি এলাকাতে সে থাকে। আর মুম্বই পুলিশ তাঁকে সবসময় ডেকে নিয়ে যায় অদ্ভুত কিছু কাজে সাহায্য করার জন্য।
অনেক সময় মৃতদেহ নালায় আটকে যায়। পচে যাওয়া সেই মৃতদেহ তুলে আনতে পারে না কোনও পুলিশ। তখন ডাকতে হয় মহম্মদ শারাফাত ওরফে কাল্লুকে। সে নিশ্চিন্তে নোংরা নর্দমায় নেমে সেখান থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে আসে। কাল্লুর কথায় আজ পর্যন্ত সে এমন ২০০ টি লাশ নিজের হাতে তুলে এনেছে। কখনও কখনও রেলে কাটা পড়া লাশও সে তুলতে যায়। তখন একদিকে মাথা ও অন্যদিকে পা পড়ে থাকে। সেগুলিকে গুছিয়ে বস্তায় ভরে সে নিয়ে আসে। মুম্বই পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কাল্লুকে খুব সম্মান করে।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সে কি কখনও ভয় পেয়েছে। কাল্লু হেসে উত্তর দেয় জ্যান্ত মানুষকে দেখে ভয় পায় সে কারণ বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে একমাত্র জীবিত মানুষ। কিন্তু মৃতদেহ আর বেচারা কী করবে। তাই ভূত-প্রেতে বিশ্বাস নেই তার। বিশ্বাস করে শুধু আল্লাহ -কে।
জানিয়ে রাখা ভালো ১৯৯২ সালে মুম্বই দাঙ্গার সময় কাল্লু কলকাতা থেকে মুম্বই চলে যায়। সে আদতে একজন বাঙালি। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মতিঝিল এলাকাতে। এখন স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে ধারাবির ছোট্ট একটি ঘরে সে থাকে।
Post a Comment