নারীদের জোর করে বিয়ে দিচ্ছে তালেবান!

Odd বাংলা ডেস্ক: তালেবানের দখলকৃত এলাকা যত বাড়ছে, তত বিপদ বাড়ছে আফগান নারীদের।
কান্দাহার দখলের পর খবর পাওয়া গিয়েছে, শহরের তরুণীদের নিজস্ব সৈন্যদের সাথে বিয়েতে বাধ্য করছে তালেবানরা। বিয়ে না দিলে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। 

আফগানিস্তানে বিজয়ী হলে সরকারি কর্মকর্তা, সেনাসদস্য ও সাধারণ মানুষকে উদারতা দেখানোর প্রতিজ্ঞা করেছিল তালেবান। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছে, যে এলাকাগুলো তালেবানদের দখলে এসেছে নতুন করে, সেখানে বিরোধী সমস্ত শক্তিকেই হত্যা করার পথে হাঁটছে তারা। হত্যা করা হচ্ছে যুদ্ধবন্দিদের, রক্ষা পাচ্ছেন না সাধারণ নাগরিকরাও। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন পরিবারের অবিবাহিত নারীদের খোঁজ করে তালিকা তৈরি করছে তালেবানরা। প্রথমে পরিবারগুলোকে বলা হচ্ছে অবিবাহিত নারীদের তাদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। পরিবার রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই নারীদের। ভয়ে বাড়ির গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকছেন তরুণীরা। বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে, বালখ্ প্রদেশের স্থানীয় তালেবান নেতা হাজি হেকমত বিবিসির কাছে দাবি করেন, তালেবানের শাসনে সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারা স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রীরা দলে দলে স্কুলে যাচ্ছে (যদিও দেশের অন্যত্র মেয়েদের স্কুলে যেতে নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা গেছে।) বাজারগুলো নারী ও পুরুষ খদ্দেরে গমগম করছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে আগে জানা যায়, নারীরা শুধু পুরুষ সঙ্গী নিয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারেন। আফগানিস্তানের অন্য জায়গাগুলোতে তালেবান নেতারা নারীদের বের হওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তবে আমরা এখানে যাদের দেখেছি তারা সবাই ছিলেন বোরকা পরা। তাদের মুখ এবং হাত ছিল ঢাকা। হাজি হেকমত জোর দিয়ে বললেন, এদের কাউকেই কোনো জোর-জবরদস্তি করা হচ্ছে না এবং মেয়েদের কী পরিধান করা উচিত, তালেবান শুধু সে সম্পর্কেই 'উপদেশ' দিচ্ছে। ট্যাক্সিচালকদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন কোনো বোরকাবিহীন 'বেগানা' নারীকে ট্যাক্সিতে না তোলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.