আজব প্রথা! গোটা বছরে শুধু রাখির দিনেই দরজা খোলে এই মন্দিরের
Odd বাংলা ডেস্ক: রাখি পূর্ণিমা। এদিন ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে তাঁর হাতে রাখি বা রক্ষাসূত্র বাঁধেন বোন। রাখি বন্ধন উত্সবের সঙ্গে আমাদের দেশে নানা ধরনের সামাজিক প্রথাও প্রচলিত আছে। তেমনই একটি প্রথা পালন করা হয় উত্তরাখণ্ডের বংশী নারায়ণ মন্দিরে।
আমাদের দেশে অবাক করা অনেক মন্দির আছে। এক এক মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে এক এক রকম গল্প। তেমনই একটা মন্দির হল উত্তরাখণ্ডের বংশী নারায়ণ মন্দির। এই মন্দিরের দরজা বছরের ৩৬৫ দিন বন্ধ থাকে এবং খোলা হয় মাত্র এক দিন। আর এই দিনটি হল রাখি পূর্ণিমার দিন। গোটা বছরে কেবলমাত্র রাখি পূর্ণিমাতেই দরজা খোলা হয় উত্তরাখণ্ডের বংশী নারায়ণ মন্দিরের।
পুরাণের কাহিনি অনুসারে মহাভারতের কালে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়। মনে করা হয় এই মন্দিরে দেবর্ষি নারদ বছরের অন্য দিনগুলিতে নারায়ণের পুজো করেন। তাই সেই সব দিনে সাধারণ মানুষের সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মানুষ সেখানে কেবলমাত্র রাখি পূর্ণিমায় আরাধনা করার ছাড়পত্র পান। তাও সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে পুজো করা যেতে পারে।
উত্তরাখণ্ডের চামবোলি জেলায় অবস্থিত এই মন্দির।কস্তুরী স্টাইলে নির্মিত মন্দিরটি ১০ ফুট উঁচু। এই মন্দিরে শিব ও বিষ্ণুর মূর্তি পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত।
এই মন্দিরের সঙ্গে প্রচলিত আর একটি কাহিনি হল যে, একবার রাজা বলি বিষ্ণুকে তাঁর দ্বাররক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন জানান। বিষ্ণু রাজি হয়ে বলির সঙ্গে তাঁর রাজত্বে যান। বিষ্ণু কোথায় গেলেন তাঁ খুঁজে না পেয়ে চিন্তিত লক্ষ্মী দেবী নারদের কাছে যান। নারদ মুনি তাঁকে জানান যে বিষ্ণু বলি রাজার দ্বাররক্ষক হয়ে আছেন। এই শুনে দুঃখিত লক্ষ্মী বিষ্ণুকে সেখান থেকে বের করে আনার পথ জানতে চান নারদের কাছে। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বলি রাজার কাছে গিয়ে তাঁর হাতে রক্ষাসূত্র বেঁধে দিতে হবে লক্ষ্মীকে। তার প্রতিদানে বিষ্ণুকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান লক্ষ্মী। সেই দিনে এখানকার রাজা বংশী নারায়ণের আরাধনা করেন। সেই থেকে শুধুমাত্র রাখি পূর্ণিমায় এই মন্দিরের দরজা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। নারায়ণের মূর্তিতে রাখি পরিয়ে দেন ভক্তেরা।
Post a Comment