Odd বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য সচেতনতায় পরিষ্কারের ব্যাপারে নারী পুরুষ উভয়ের মনোযোগী হওয়া উচিত। কারন আমরা বেশির ভাগ সময় সময়ের অভাবের কারণে গোপন স্থান গুলোর যথেষ্ট পরিচর্যা করি না। যার ফলে এখান থেকে চুলকানি, দাদ, খোসফাঁসড়া থেকে শুরু করে নানান প্রকারের চর্ম সমস্যা তৈরী হয়। পরে সে প্রতিক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রানের আশপাশ থেকে চর্তুদিকে।
পুরুষের অন্ডকোষ হলো শুক্রাণু তৈরীর কারখানা। এই কারখানা মূলত নিয়ন্তিত হয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়। যা শরীর থেকে তিন ডিগ্রি কম। স্বাভাবিক আবহাওয়ার তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকলে এটি শুক্রাণু রক্ষার জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রা আনয়ন করার জন্য উপর দিকে সংকোচিত হয়ে শরীরের সাথে লেগে থাকার চেষ্টা করে। আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সহজেই নিচের দিকে ঝুলে যায়। তাপমাত্রার এই পরিবর্তনের ফলে সংকোচিত এবং প্রসারিত হওয়ার কারনে তৈরী হয় অসংখ্য ভাঁজ। যে ভাজগুলো সহজেই ঘাম, জল, এবং স্বাভাবিক ময়লা আঁটকে থাকতে পারে।
যখন ময়লা জমবে তখন ঘাম কিংবা জল সহজে শুকোবেনা৷ এবং ঘাম কিংবা জল লেগে থাকলে সহজেই ময়লা, উড়ো বালু, প্যান্টের ঘামাত্বক ময়লা ইত্যাদি সহজেই আঁটকে যাবে। যার জন্য আমাদের উচিত প্রতিদিন একবার (সকাল বেলা) পরিষ্কার করা।
সকাল বেলা বাথরুমে যাওয়ার সময় এই পরিচর্যাটি সহজেই করতে পারেন। প্রথমে রানের দুই চিপায় এবং লিঙ্গ সহ অন্ডকোষ থেকে নিচের অংশে জল দিয়ে ভিজিয়ে দিন। দু মিনিট যাওয়ার পর দেখবেন ত্বকের উপরের অংশ কিছুটা পিচ্ছিলতা ধারন করেছে।কারন ঘাম, ময়লা আর জল সব মিলিয়ে চামড়া থেকে কিছুটা আলগা বোধ করছে। তখন রানের দুই চিপায় হালকা ভাবে পরিষ্কার হাত দিয়ে মৃদু মাঝা দিবেন। দুই চিপা ভালো মতো পরিষ্কার হয়েছে বুজতে পারলে জল দিয়ে দুয়ে নিন। তার পর আন্ডকোষের চামড়া হালকা ভাবে ধরে মৃদুভাবে পরিষ্কার করুন। যেন অন্ডকোষে ব্যাথা না লাগে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। নিচে শাহাদাত আঙ্গুল এবং উপরে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মসৃণ ভাবে ডলা দিন।তবে অন্ডকোষের উপরে রেখে কখনো ঘসা কিংবা চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এই সেনসেটিভ অঙ্গটি কিন্তু হালকা চাপে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই ত্বকের নিচে ত্বক রেখে পরিষ্কার করুন, ভেতরে কোষ দুটো আগে পরে করে সাইডে রেখে কাজ করার চেষ্টা করবেন। কিছুক্ষণ মৃদু ঢলার পর ময়লা লুজ হয়ে পিচ্ছিল হয়ে উঠবে। ভালো মতো পরিষ্কার হয়ে গেলে পরিষ্কার জল দিয়ে রানের চিপাচাপা এবং অণ্ডকোষের উপরে নিচে ভালোমত ধুয়ে তোয়ালে কিংবা টিস্যু দিয়ে জল চুষে নিন।
দেখবেন এতে ময়লা সহজে আঁটকাবে না। এবং ঘাম সহজে জমবে না। নিজেকে অনেকটা সজীব অনুভব হবে। তবে কাজটি নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। কারণ নিয়মিত ঘামানো শরীর এবং প্যান্টের ময়লা প্রতিদিন তৈরী হয় তাই প্রতিদিন একবার এই কাজ সকলের করা উচিত। এতে গোপনাঙ্গের যাবতীয় চুলকানি জাতীয় অসুস্থতা থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভবনা থাকে।
তবে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ফেঁনা তৈরী করে এমন কোন পরিষ্কারক (সাবান কিংবা জেল জাতীয়) ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। শুধু পরিষ্কার হাত এবং পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন। অন্যথায় হস্তমৈথুন করার ইচ্ছে জাগতে পারে।
Post a Comment