গল্পের গরু নয়, বাস্তবেই পাহাড়ে ওঠে মাছ!
Odd বাংলা ডেস্ক: গল্পের গরু গাছে ওঠে, একথা তো সবাই কমবেশি। তবে বাস্তবের মাছ যে পাহাড়ে ওঠে, একথা জানেন কি? অনেকেই হয়তো ভাবছেন উড়ুক্কু মাছের কথা বলছি হয়তো। এই মাছের কথা অনেকেই জানেন। এটি একেবারে পাখির মতোই সমুদ্রের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে। জলে নয়, তাও আবার শূন্যে। তবে না, এটি উড়ুক্কু নয়।
সম্প্রতি আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের গবেষক টিম গ্র্যাবোস্কি তেমনই এক মাছের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অদ্ভুতভাবে, এতদিন এই বিচিত্র মাছকে নিয়ে তেমন কোনো গবেষণাই হয়নি।
হাওয়াই দ্বীপের হামাকুয়া উপত্যকায় দেখা মেলে এই অদ্ভুত মাছের। স্থানীয় ভাষায় তার নাম ও-ওপু নাকিয়া। তবে টিমের মতে, ও-ওপু বলতে বেশ কয়েক প্রজাতির মাছকেই বোঝানো হয়। এর মধ্যে ৪টি বা ৫টি প্রজাতিই পাহাড়ে উঠতে পারে। আর হামাকুয়া উপত্যকার অন্তত ৫০ মাইল জলস্রোতে এই মাছেদের দেখা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও প্রতিটি জায়গাই যথেষ্ট দুর্গম। আর সেই কারণেই হয়তো এতদিন তাদের নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি।
৫ লাখ বছর আগে সমুদ্রের গর্ভ থেকে উঠে আসে হামাকুয়া উপত্যকা। এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২০০ সেন্টিমিটারের বেশি। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে জলের স্রোত অন্তত বেশি। বেশিরভাগ জলপ্রপাতের মধ্যে টিকে থাকার মতো করেই তাই অভিযোজিত হয়েছে ও-ওপু। প্রয়োজনে পানি ছেড়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ৩৬ মিটার উঠে যেতে পারে এরা। যদিও ক্রমশ এই ব্যতিক্রমী মাছের সংখ্যা কমে আসছে বলেই জানিয়েছেন এই গবেষকদল। আর তার জন্য দায়ী অবশ্যই পরিবেশ দূষণ।
এই মাছগুলো মূলত সামুদ্রিক। তবে প্রজননের সময় এরা বিভিন্ন পথ দিয়ে খাল এবং পাহাড়ি ঢালে বয়ে চলে নদীতে চলে আসে। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৬০ দিনের মতো এরা এই জায়গায় অবস্থান করে। এরপর আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। জল ছাড়া ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে এই অদ্ভুত প্রজাতির মাছটি।
Post a Comment