ধর্ষকদের ফাঁসি বা এনকাউন্টার নয়, চাইছেন কিছু ভারতীয়

অয়নাংশু পাল: আইনের চোখে সবাই সমান।ভারতের সংবিধানের 39A ধারায় বলা হয়েছে ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের সমানভাবে বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।একজন আসামী যার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগে মামলা চলছে এবং যে কোন মুহূর্তে তার ফাসিঁকাঠে ঝুলে জীবন হারানোর ভয় রয়েছে সে কি রকম মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে বেঁচে থাকে তার খবর কী কেউ রাখে?এইরকম ভাবে প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুভয় নিয়ে বেঁচে থাকা কি আদৌ বেঁচে থাকার সমান? রাষ্ট্রের হাতে কি একজন মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার অধিকার থাকতে পারে? এইসব প্রশ্ন তুলে ও এইরকম আসামিদের সঠিক বিচার দেওয়ার লক্ষ্যেই ২০১৪ সালে দেশের জনা পাঁচেক আইনজীবী মিলে তৈরি করেছিলেন“Project 39A” সংস্থা।

সংগঠনের কর্ণধার অনুপ সুরেন্দ্রনাথ এর কথায় “কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুন বা ধর্ষণ করার মত গুরুতর অভিযোগ উঠলে অভিযোগের সত্য মিথ্যা বিচার না করেই দিনরাত তার ফাঁসির দাবি করতে থাকে সমাজের একাংশ।“Hang the rapist”এর মত ক্যাম্পেইন চলতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটা একেবারেই কাম্য নয়। “

তিনি আরও যোগ করেন “অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন আমরা অপরাধীর পক্ষ নিচ্ছি। কিন্তু সেটা একেবারেই নয় ।আমাদের কাজ হবে কোন পরিস্থিতিতে সেই ব্যক্তিটি এইরকম কাজ করেছেন সেটা খুঁজে বার করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।“ বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় কিশোর বেলায় তার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া  সামাজিক অন্যায়ের কারণে একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বেআইনি কাজে লিপ্ত হয় আমাদের কাজ হবে আমাদের চেষ্টা থাকবে এইসব মানুষদের দ্রুত কিভাবে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা যায়।“

ফঁসি প্রসঙ্গে তার মন্তব্য”আমরা গবেষণায় দেখেছি ফাঁসি দেওয়া হলে মানুষের অপরাধ প্রবণতা তো কমেই না উল্টে বৃদ্ধি পায়। তাই একটি রাষ্ট্র কখনই উচিত নয় কোন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া বা মৃত্যু ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে মানসিক অত্যাচার করে বাঁচিয়ে রাখা।  শাস্তি দেওয়ার এই পদ্ধতিতে যতদিন না পরিবর্তন আসছে আমরা লড়াই চালাবো”।

উৎস: ভাইস

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.