সারা শরীর কাঁটায় ভরা, ডাইনোসরের জীবাশ্ম দেখে হতবাক গবেষকরা

Odd বাংলা ডেস্ক: বিশাল শরীর আর দাপুটে মেজাজে প্রায় ১৬ কোটি বছর পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে ডাইনোসর। পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের প্রাগৈতিহাসিক অধিবাসী এবং বৈজ্ঞানিকদের অনুমান এই প্রভাবশালী প্রাণী এরা। প্রথম ডাইনোসরের বিবর্তন হয়েছিল আনুমানিক ২৩ কোটি বছর পূর্বে। কোটি কোটি বছর আগে তা বিলুপ্তও হয়ে গিয়েছে।

তবে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ডাইনোসর নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। আগ্রহের শেষ নেই বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরও। সেই আগ্রহের জেরেই বিভিন্ন সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে ডাইনোসরের জীবাশ্ম। এবার বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরের এক কিম্ভূতকিমাকার প্রজাতির জীবাশ্মের সন্ধান পেলেন মরক্কোয়।

এর আগে কখনো কখনো ডাইনোসরের এমন জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে, যেখানে প্রাণীটির পিঠের উপর সূচলো কাঁটা দেখা গিয়েছে। তবে নতুন শনাক্ত হওয়া ডাইনোসরের পুরো শরীরেই এমন বিশেষ কাঁটা রয়েছে। এই প্রজাতির ডাইনোসরের নাম স্পিকোমেলাস অ্যাফের। অ্যাঙ্কিলোসাউরাস নামের ডাইনোসরেরই খুব প্রাচীন একটি দলের অন্তর্ভুক্ত এটি।

ডাইনোসরের এই প্রজাতিটির শনাক্তকারী গবেষকদলে ছিলেন ব্রিটেনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রতিনিধি। তিনি জানান, মরক্কোয় এটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আফ্রিকায় এমন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম এই প্রথম মিলল। এর আগে এমন কাঁটাযুক্ত ডাইনোসরের জীবাশ্ম শুধু লাতিন আমেরিকাতেই শনাক্ত হয়েছে।

গবেষণাটি 'নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভল্যুশন' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে এই ডাইনোসর প্রায় ১৬ কোটি বছর আগে বাস করত। বিজ্ঞানীরা জানান, বছরজুড়ে মাটি খুঁড়ে বেশ কয়েকটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে। এর কয়েকটির শরীরের উপরিভাগের ত্বকে বাড়তি হাড়ের কাঁটা দেখা গেছে। কয়েকটির আবার লেজের শেষভাগেও বড় আকারের হাড়ের অংশ রয়েছে।

তবে নতুন শনাক্ত হওয়া এ প্রজাতির ডাইনোসরের শরীরে এমন হাড়ের অংশ কীভাবে এল, সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন। বিষয়টি নিয়ে এখন গবেষণা করছেন তারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.