জঙ্গি-হামলার টার্গেট দশেরা-নবরাত্রি-দীপাবলি, আড়ালে দাউদের ডি-কোম্পানি, পাক-গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই

Odd বাংলা ডেস্ক:  উৎসবের সময় আবারও মুম্বইয়ের ধাঁচে হামলার ছক। পিছনে দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানি। সঙ্গে পাক-গুপ্তচর আইএসআই। ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে একজন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিমের ঘনিষ্ট।

মডিউলের অন্য দুই সদস্য, জিসান উমর এবং ওসামা। দু’জনেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কাছে ট্রেনিং নিয়েছে। দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গায় জঙ্গি হামলার টার্গেট করেছিল তারা। লক্ষ্য ছিল অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় বিস্ফোরকের মাধ্যমে জঙ্গি আক্রমণ। স্পেশাল সেলের ডিএসপি প্রমোদ সিং কুশওয়াহার দাবি, ‘ধৃতদের জেরা করে আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং আইএসআইয়ের আঁতাঁত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন জান মহম্মদ আলি শেখ ওরফে সমির। এই সমিরই দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিমের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে জানা গিয়েছে। এই আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত পাকিস্তানের আন্ডার ওয়ার্ল্ডের কোনও এক চর। এদের কাজ ছিল ভারতের একাধিক শহরে স্বয়ংক্রিয় বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং গ্রেনেড পৌঁছে দেওয়া।’

স্পেশাল সেলের যুগ্ম কমিশনার নীরজ ঠাকুরের বক্তব্য, ‘ধৃত জিশান এবং ওসামা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। ট্রেনিং শেষে গত ২২ এপ্রিল তারা মাসকট রওনা দেয়। জেরায় দু’জনেই জানিয়েছে, মাসকটে তারা বেশ কয়েক জনের সঙ্গে পরিচিত হয়। সংখ্যায় তারা প্রায় পনেরো-ষোল জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলায় কথা বলত। সম্ভবত এই বাংলাভাষীরাও পাকিস্তানে ট্রেনিং নিয়েছে। জঙ্গিরা মাসকটে দুটো দলে ভাগ হয়ে যায়। এই দলের একটির দায়িত্বে ছিল দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস। টার্গেট ছিল দিল্লির সেফ হাউজে অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়া।’ হাওয়ালার মাধ্যমেই হত বেআইনি অস্ত্রের লেনদেন, জানিয়েছেন স্পেশাল সেলের যুগ্ম কমিশনার নীরজ ঠাকুর

দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে তো বটেই জঙ্গিদের টার্গেট ছিল মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য রাজ্যও। সামনেই একাধিক রাজ্যে উৎসব। দশেরা, নবরাত্রি, দীপাবলি, এই সব উৎসবের সময়েই জঙ্গি হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.