যে উৎসবে ৬০ লাখ লিটারেরও বেশি বিয়ার পান করা হয়!

Odd বাংলা ডেস্ক: জার্মানির ‘অক্টোবর ফেস্ট’ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিয়ার উৎসব। মিউনিখ শহরে প্রতিবছর নিয়ম করে এই উৎসব পালিত হয়। এটি মূলত ১৬ থেকে ১৮ দিনের একটি উৎসব, যা প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে শুরু হয়ে অক্টোবরের প্রথম রবিবার পর্যন্ত চলে। এই ফেস্টের মূল আকর্ষণ হলো বিয়ার। উৎসব চলাকালীন সময়ে সেখানে বিয়ারের বন্যা বয়ে যায়।

১৮১০ সালে এই উৎসবের সূচনা হয়। জার্মান ক্রাউন প্রিন্স লুডভিগ, সাসেক্স অব বাভারিয়া এবং থেরেসা, সাক্স অব হিল্ডবার্গহাউসেনের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল মিউনিখ শহরে, যা রীতিমতো এক রাজকীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল৷ এই বিয়েতে রাজপরিবারের লোকেরা তো ছিলই, সেদিন আনন্দে মেতে উঠতে রাজবাড়ির দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষদের জন্যও। ঘোড়দৌঁড় এবং পানি উৎসবের আয়োজন করা হয় এই রাজকীয় বিয়েতে।

১৮১০ সালে এই উৎসবের সূচনা হয়। জার্মান ক্রাউন প্রিন্স লুডভিগ, সাসেক্স অব বাভারিয়া এবং থেরেসা, সাক্স অব হিল্ডবার্গহাউসেনের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল মিউনিখ শহরে, যা রীতিমতো এক রাজকীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল৷

১৮১০ সালে এই উৎসবের সূচনা হয়। জার্মান ক্রাউন প্রিন্স লুডভিগ, সাসেক্স অব বাভারিয়া এবং থেরেসা, সাক্স অব হিল্ডবার্গহাউসেনের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল মিউনিখ শহরে, যা রীতিমতো এক রাজকীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল৷

এরপর থেকে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করা হয়। বিয়ারের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা থাকে অক্টোবর ফেস্টে। যার মধ্যে প্রেটজেল নামক এক ধরনের নোনতা, মুচমুচে রুটি খুবই মজাদার। অক্টোবর ফেস্টকে কেন্দ্র করে আলোয় সেজে ওঠে মিউনিখ। মিউনিখে থেরেসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। ছোট-বড় নানান রকমের তাবু তৈরি করা হয় এই মাঠে। এই ফেস্টে এক লিটার বিয়ারের দাম পড়বে ১০ ইউরোর কিছু বেশি। দুই সপ্তাহের মধ্যে ৬০ লাখ মিটারেরও বেশি বিয়ার পান করা হয়। মেয়েরা একসঙ্গে ১০ থেকে ১২টি বড় বিয়ারের মগ নিয়ে পরিবেশন করেন এগুলো।

বিয়ার ছাড়াও উৎসবটির আরো একটি বিশেষত্ব হলো ঘোড়াদৌড় ও মেলা। এই বিশাল মেলার উদ্দেশ্য এখানকার অতিথিদের আনন্দদায়ক করা। মেলার তাবুতে জায়গা পেতে হলে আগে থেকে রিজার্ভেশন দিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে জায়গা পাওয়া মুশকিল। তাবু বুক করার জন্য নতুন একটি অ্যাপও চালু করেছে অক্টোবর ফেস্টের কর্তৃপক্ষ। মেলা এবং বিয়ার উৎসব ছাড়াও নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে পারফর্ম করতে আসেন বিশ্বের বড় বড় সেলিব্রিটিরা। 

আঠারো-উনিশ শতকে এই উৎসবে আয়োজন করা হতো নানা রকম প্রতিযোগিতা। রাজা লুডভিগ এবং তার রাণী থেরেসার বইয়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথমবার অক্টোবর ফেস্টে কস্টিউম প্যারেডের আয়োজন করা হয় ১৮৩৫ সালে। এই প্যারেডে ১৫০ রকম কস্টিউম গ্রুপ অংশ নিয়েছিলেন, যাতে ১৪০০ লোক ছিলেন। ১৯৫০ সাল থেকে এই প্যারেডে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই প্যারেড বিশ্বের বড় প্যারেডগুলোর মধ্যে একটি। কস্টিউম প্যারেডের আয়োজন করা হয় উৎসব শুরুর পর প্রথম রবিবার। 

অক্টোবর ফেস্ট না হলেও ব্যবসার কথা মাথায় রেখে সেপ্টেম্বর শুরু করা হয় এই উৎসব। কারণ এই সময় তাদের আবহাওয়া কিছুটা হলেও ভালো থাকে বলে দর্শকদের উপস্থিতি বাড়ে। এতে বেচাকেনাও ভালো হয়। মিউনিখের মেয়র ঠিক রাত বারোটায় বিয়ারের ব্যারেল খুলে উদ্বোধন করেন এই অক্টোবর ফেস্ট।

প্রায় ছয় মিলিয়ন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিয়ার উৎসবে অংশগ্রহণ করতে আসেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে। জার্মানির মিউনিখে অক্টোবর ফেস্টের জন্ম হলেও এখন এটি কেবলমাত্র জার্মানিতে সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে এই উৎসবের প্রচলন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.