পরকীয়ার টানে স্ত্রী ১০ বছরে ঘর ছারলেন ২৫ বার! তারপর..

Odd বাংলা ডেস্ক: ১০ বছরের সংসার। তার মধ্যে ২৫ বার পালানোর চেষ্টা করেছেন স্ত্রী এবং আলাদা আলাদা পুরুষের সঙ্গে। কিন্তু, তবুও স্ত্রীর হাত ছাড়তে নারাজ স্বামী। আকড়ে ধরে রাখা হাত। কোনও ভাবেই বউকে পালাতে দেওয়া যাবে না!

ঘটনাটি অসমের। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিবাহিতা ওই মহিলা ২০ থেকে ২৫ বার প্রেমিকদের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, প্রত্যেক বার ফেরত আসেন ‘নিজের সংসারেই’। ওই মহিলার শ্বশুর জানান, তাঁর ছেলে বউমাকে ছাড়তে নারাজ। এখনও তিনি স্ত্রীর সঙ্গেই ঘর সংসার করতে চান।

জানা গিয়েছে ওই মহিলার বাড়ি মধ্য অসমের ধিং লাহকর গ্রামে। তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। মহিলার সবথেকে ছোট সন্তানের বয়স ৩ মাস। তাঁর প্রতিবেশীর দাবি, ‘কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান ওই মহিলা।

বিয়ের পরে এই নিয়ে ২৫ তম বার পালানোর চেষ্টা করলেন তিনি। কিন্তু, প্রত্যেকবার পালিয়ে গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর কাছে ফেরও আসেন।’ জানা গিয়েছে, আগের ২৪ বার পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর কাছে ফেরত এসেছিলেন ওই মহিলা।

প্রসঙ্গত, ওই মহিলার স্বামী পেশায় ড্রাইভার। পেশাগত কারণে বাড়ির বাইরে থাকতে বাধ্য হন। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন বাড়িতে নেই স্ত্রী। এরপরেই প্রতিবেশীদের থেকে স্ত্রীর খোঁজ নেওয়া শুরু করেন তিনি। জানতে পারেন, বাড়িতেই ৩ মাসের সন্তানকে রেখে গেছেন স্ত্রী। প্রতিবেশীরা ওই ব্যক্তিকে জানান, এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এরপরেই ওই মহিলার স্বামী অভিযোগ তোলেন, ২২ হাজার টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ওই মহিলার শ্বশুর জানিয়েছেন, এবার তিনি কার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন সেই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। জানা গিয়েছে, আগের যতবার স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছেন, ততবার তিনি ফেরতও এসেছেন এবং প্রত্যেকবার তাঁকে ‘কাছে টেনে নিয়েছেন’ স্বামী। ঘটনায় অবাক প্রতিবেশীরাও। তবে ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বউমার উপর বিরক্ত পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকবার ওই মহিলা জানিয়েছিলেন তিনি অনুতপ্ত। তাই এই বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তাঁদের বাড়ির ছেলে। কিন্তু, ২৫ বারও তিনি পালিয়ে যাওয়ায় রাগে ফেটে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। তবে এখনও স্ত্রীর সঙ্গেই ঘর সংসার করতে রাজি ওই মহিলার স্বামী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.