কালো রসুন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে
Odd বাংলা ডেস্ক:দেখতে পোড়া রসুন মনে হলেও আসলে তা নয়। কালো রসুন নামে যার পরিচিতি বিশ্বব্যাপি। দেহের রোগ প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে এই ব্লাক গারলিক বা কালো রসুন। বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া যায়, দেহের নানা জটিল রোগ সাড়ানো ছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি টিউমার, অ্যান্টি ক্যান্সার হিসেবেও যার আছে উপকারি ভূমিকা।
জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে দেখা মেলে এই কালো রসুনের। আর সাথে পরিবেশনেও আছে বহুমখীতা। হালকা টক স্বাদের কালো রসুনকে অনেকেই গ্রহন করা হচ্ছে খালি পেটে আবার অনেকে যেকোন তরকারির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খান।
গবেষনা বলছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় সাদা রসুনকে প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে তৈরি হয় গাঢ় বাদামী বা কালচে বর্ণের কালো রসুন। সাদা রসুনের তুলনায় গাঁজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত কালো রসুনের আছে দ্বিগুণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সাথে বেড়ে যায় অ্যালিসিন। যেটি শরীরে তৈরি হওয়া ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রেখে বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
পুষ্টিবিজ্ঞানী কৃষিবিদ ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলছেন, এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। আবার কিডনীর কায্যকারিতা সচল রাখতেও আছে ভূমিকা। তবে খাবারটি গ্রহনের ক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু সর্তকতা। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ছাড়াও কোষের তৈরি হওয়া ক্ষত রোধ করে কালো রসুন। শরীরে তৈরি হওয়া ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এই গাঁজায়িত রসুন। তাই শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে খাবারের পাতে পরিমিত মাত্রায় কালো রসুন রাখার পরামর্শ এই পুষ্টিবিজ্ঞানীর।
১৯৯৯ সালে কালো রসুন প্রথম জাপানে তৈরি হয়। এটির রঙ কালো, কম তীব্র গন্ধযুক্ত এবং মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফলে এটি কোনো ফুড এডিটিউস যোগ করা ছাড়াই সহজে খাওয়া যায়।
কালো রসুনের অনেক ঔষধি গুণাগুণ আছে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যাক্টিভিটি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল অ্যাক্টিভিটি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক অ্যাক্টিভিটি, অ্যান্টি-টিউমার, অ্যান্টি-ক্যান্সার অ্যাক্টিভিটি প্রকাশ করে। এটি রক্তে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
Post a Comment