এবার পুজোতে যত ইচ্ছা ফুচকা খান.. কমবে ওজন!

Odd বাংলা ডেস্ক: শিরোনাম পড়ে মনটা আনন্দে নেচে উঠলো? ভাবছেন এই স্ট্রিট ফুড আবার কবে থেকে ডায়েটের পদ হয়ে উঠলো? জিভে জল আনা এই খাবারটি আপনার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ইচ্ছা হলে আপনিও ফুচকা খেতে পারেন। আসলে এর জন্যে দরকার নিজস্ব বুদ্ধি। হাতে বানানো ফুচকা আর রাস্তার ধারে কেনা ফুচকার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।

গবেষণা বলছে একটি ফুচকায় কম করে ৩৬ ক্যালোরি থাকে। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে এক প্লেট ফুচকা খেলে তা থেকে আপনি ২১৬ ক্যালোরি শক্তি পাবেন। তবে তা হতে হবে একেবারে বাড়িতে বানানো ফুচকা। মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। সেই সঙ্গে আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা, হাটা সব চালু রাখতে হবে।

১. ফুচকা খাবার মজা জমে বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর। কিন্তু ডায়েটের এই ফুচকা আপনাকে খেতে হবে দুপুরেই।

২. তবে প্রতিদিন বললেই কী আর প্রতিদিন খাবেন নাকি? একদম না। মাঝে মাঝে ৬ টা থেকে ৮ টা-এর মধ্যেই খেতে হবে ফুচকা। কারণ যতটা দরকার তার চেয়ে বেশি খেলে যে কোনো খাবারই বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।

৩. আলু-কাঁচা লঙ্কা-টক জলের পাশাপাশি ছোলা,মটর, লেবু, ধনেপাতা সবই ভালো। কিন্তু ডায়েট প্রেমীরা সাবধান। কারণ আলুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। তাই যতবার ফুচকা খাবেন প্রতিবার আলু ব্যবহার করবেন না। এবার আলুর মায়া ত্যাগ করে তার জায়গায় ছোলা-মটর ভরেই খান ফুচকা। দই ফুচকা খেলেও চাটনি দেবেন না। টক জল বানালে নুন এবং ঝাল কম করে দেবেন। কম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। টকের সাথে চিনি ব্যবহার করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে পুদিনা, জিরা, জলজিরা, হিং ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. ফুচকার পাপড়ি সুজি ও ময়দা দুটো দিয়েই বানানো যায়। কিন্তু যেহেতু আপনি ডায়েট মানছেন তাই ময়দার ফুচকাই খাওয়া শ্রেয়। মুগ ডাল, আটা দিয়েও পাপড়ি বানাতে পারেন। মূল কথা ফুচকার উপাদানে সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনলে মেনে চললে আর কোন সমস্যা নেই ওজন কমার ক্ষেত্রে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.