অতিরিক্ত খাওয়ার রোগ সারানোর উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক:অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। ইচ্ছে থাকলেও এমন ব্যক্তিরা খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে ক্ষুধা না লাগলেও খেতে ইচ্ছে করে সবসময়। যা ওজন বৃদ্ধিসহ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এমনটি হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

জানেন কি? অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যাও একটি রোগ। একে বালা হয় বিঙ্গে ইটিং ডিসর্ডার (বিইডি)। এটি একটি মানসিক ব্যাধি। এ সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা খাওয়ার ইচ্ছের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না।

তবে কিছু মানুষ আছে যারা অত্যধিক খাবার ব্যাধিকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ পারলেও আবার অনেকেই ব্যর্থ হন। তাদের এমন খাবার নেশা হয় যে; ভালো খাবার দেখলেই আর লোভ সামলাতে পারেন না।

অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ কী?

কী কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার ব্যাধি হয়ে থাকে সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্টতা নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবারের কারও যদি বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে; তবে অন্যদেরও এ অভ্যাসটি হতে পারে।


কিছু লোকের অতিরিক্ত খাওয়ার ব্যাধি জেনেটিক সমস্যা হয়। আবার কিছু মানুষ আছেন যারা খুব কম খায় এবং এ কারণে তাদের খিদেও বেশি পায়। ফলে তারা ঘন ঘন খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা যে কারও হতে পারে।

বিশেষত এই সমস্যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখা হয়। এ ছাড়াও যারা ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, দুশ্চিন্তাসহ মানসিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন; তারা বিইডি’তে ভুগতে পারেন।


অত্যধিক খাওয়ার ব্যাধির লক্ষণ কী কী?


>> একা খেতে পছন্দ করা।

>> খিদে না থাকলেও কিছু না কিছু খাওয়া।

>> খিদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা।

>> ওজন কমাতে ডায়েটিং শুরু করা।

>> অত্যাধিক খাওয়ার অভ্যাসে হতাশ হয়ে পড়া।

>> নিজেকে অনেক অসহায় মনে করা।

>> ওজন কমাতে ব্যর্থতা।

>> স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া।

>> খুব দ্রুত খাবার খাওয়া।


অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা সমাধানের উপায় কী?


>> অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা হলো কম খাওয়ার অভ্যাস করা। যদি সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা হয়; তাহলে ক্ষুধাও কম লাগবে আর বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকবে না। সেইসঙ্গে ওজনও কমতে শুরু করবে।

>> এই রোগে আক্রান্ত হলে অনেকেই নিজের প্রতি লজ্জাবোধ করেন এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। নিজে খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে, মনোরোগবিদদের সাহায্য নিতে পারেন।

>> মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস কমাতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। কিছু ক্ষেত্রে কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন হয় রোগীর।

>> যদি কোনো ব্যক্তি অবসাদের কারণে বেশি খাওয়া শুরু করেন; তবে থেরাপির মাধ্যমে তার মানসিক অবসাদ কাটানোর চেষ্টা করেন মনোরোগবিদরা। এর ফলে রোগীর বেশি খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমে।

>> অনেকে ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত শরীরচর্চা করে থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে, আগে খাওয়া কমাতে হবে। সেইসঙ্গে নিয়মিত হালকা অনুশীলন করলেই ওজন কমতে শুরু করবে।

>> বেশি খাওয়ার ব্যাধি থাকলে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। যে খাবারগুলো দেখলে খেতে ইচ্ছে করে; সেগুলো রান্না করা বা কিনে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

>> খাবার থেকে মনোযোগ সরাতে বিভিন্ন কাজে মনোযোগ দিন। যখন কাজের মধ্যে ডুবে থাকবেন; তখন খাওয়ার কথাও ভুলে যাবেন।

>> খাওয়ার ব্যাধি এড়ানোর কোনো নির্দিষ্ট উপায় নেই। যদি আপনি অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যার লক্ষণগুলো দেখেন; তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.