গাড়িতে হর্ন নয়, বাজবে তবলা-বেহালা-বাঁশির সুর

 


Odd বাংলা ডেস্ক: ঘর থেকে বাইরে বের হলেই কানে পাখির কলতানের চেয়ে গাড়ির হর্নই বাজে বেশি। নগরাঞ্চলে তো আরো বেশি। শহরে কখনো কখনো ঘরের মধ্যেও হর্নের শব্দ শোনা যায়। এই অবস্থায় ত্যক্তবিরক্ত ভারতের পরিবহনমন্ত্রী নীতিন। তিনি গড়কড়ি ভিন্ন কৌশল নিতে চাচ্ছেন। তিনি গাড়ির হর্নের পরিবর্তে মধুর সুর বাজানোর পরিকল্পনা করছেন।

তিনি বলেন, ‘হর্নে সংগীতের সুর বাজানোর বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। শিগগির এ–সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা আছে। সে অনুযায়ী কোনো চালক হর্ন চাপলে যন্ত্রসংগীত বাজবে, যা সবার কাছে শুনতে ভালো লাগবে।’ 

তিনি আরো বলেন, হর্নের জায়গায় বাঁশির সুর, তবলা, ভায়োলিন, মাউথ অর্গান কিংবা হারমোনিয়ামের সুর বাজানো যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন। ভারতের পরিবহনমন্ত্রী আরো জানান, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ির শব্দও নরম ও মধুর করা যায় কিনা, সে বিষয়েও চিন্তা চলছে।

নগরাঞ্চলে শব্দদূষণের জন্য গাড়ির হর্ন অন্যতম দায়ী। বিশ্বের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ শহরের তালিকায় ভারতের কয়েকটি শহর রয়েছে। এসব শহরের সব রাস্তা ভরা থাকে রিকশা, বাস, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতে। তারা একে অপরকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। এ জন্য হর্নের ব্যবহারও বেশি করেন চালকেরা। সামনের গাড়িকে সরে যাওয়ার জন্য নয়, যেন নিজের উপস্থিতি জানান দিতে চান তারা। ভারতে কোনো কোনো ট্রাকের পেছনে তো লেখাই থাকে, ‘হর্ন দিন’।

তবে হর্ন, নির্মাণকাজসহ নগরাঞ্চলের যান্ত্রিক নানা কারণে শব্দদূষণ ঘটছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, শব্দদূষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। এই শব্দদূষণের কারণে হৃদ্‌রোগ, মানসিক চাপ, বিষণ্নতা হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.