চাণক্যর মতে এই ৬ টি মূল কারণে স্বামীর স্ত্রীর সুখী দাম্পত্যে জীবনকে নষ্ট করে দেয়!
মিথ্যা বলার অভ্যাস: কখনও মিথ্যা বলবেন না। এটি এমন একটি আধিপত্য যা সবাইকে কষ্ট দেয়। এটি নিজের এবং অন্যের পক্ষেও ভাল নয়। মিথ্যা কোনও সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এতটাই পবিত্র যে এর মধ্যে মিথ্যার কোনও ভর্তি হওয়া উচিত নয়।
বেশি অর্থ ব্যয়ের অভ্যাস: অর্থের ভারসাম্য বজায় রাখা ব্যক্তির পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন ব্যক্তির জীবনে সাফল্যের জন্য, গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি আয় এবং ব্যয়ের ভারসাম্য জানেন। যে মানুষ ব্যয় এবং উপার্জন বোঝে না তারা নষ্ট হয়। এই জাতীয় ব্যক্তিরা প্রতিটি সুযোগে নিজেকে একা খুঁজে পায় এবং এক সময়ের পরে নষ্ট হয়ে যায়।
ক্রোধ: ক্রোধ এমন একটি বদনাম যা কোনও ব্যক্তির বুদ্ধি নষ্ট করে দেয়। রাগী স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে উত্তেজনাকর। ব্যক্তির ভাল গুণগুলি ধ্বং’স করে দেয়। ক্রোধ বৈবাহিক কলহের সৃষ্টি করে যা পরিবারের শান্তিতে বাধা সৃষ্টি করে। তারা চারপাশের ভাল জিনিসগু’লি উপভোগ করে না।
সঙ্ক’টের সময়ে ধৈর্য হারাতে: স্বামী-স্ত্রীর আসল পরীক্ষাটি সংকটের সময়। সঙ্কটের সময়ে পৃথক হওয়া সমস্যাটি শেষ করে না, তবে এটিই নতুন সং’কট দেখা দেওয়ার শুরু। উভয়েরই সঙ্ক’টের সময়ে একে অপরের শক্তি হওয়া উচিত। সঙ্ক’টের সময়ে ধৈর্য হারাতে সমস্যা বৃদ্ধি করে।
গোপ’নীয়তা ভঙ্গ করা: স্বামী এবং স্ত্রীর উচিত কখনও অন্য লোকের সাথে পারস্পরিক বিষয় ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়। আজকের সময়ে, এই ভুল করবেন না। একে অপরের সম্মানে, একটি সুখী বিবাহিত জীবনের গো’পন রহ’স্য লু’কিয়ে আছে। দৃর সম্পর্কের জন্য একে অপরের অনুভূতির যত্ন নিন। ভাল স্বামী এবং স্ত্রী সেখানে আছেন যারা একে অপরের ভাল কাজের প্রশংসা করেন।
ত্যাগ এবং ত্যাগ: স্বামী এবং স্ত্রীর কোনও ক্ষেত্রেই তাদের মর্যাদা এবং মূল্যবোধ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। মনে রাখবেন যে সম্পর্ক পরিচালনার দায়িত্ব একই। এই দুটি গুণই যখন অদৃশ্য হয়ে যেতে শুরু করে, তখন ঘরের পরিবেশটি বিভেদ এবং উদ্বেগের সাথে পূর্ণ হয়। অতএব কম বা বেশি কিছু নেই। সমস্ত দায়িত্ব তখনই পূরণ করা যেতে পারে যখন আচার এবং সজ্জা অনুসরণ করা হয়। এগুলি এমন গুণাবলী যা মানুষকে উন্নত করে তোলে, যার কারণে সে সম্মান পায়।
Post a Comment