শুধু হাসলে নয়, কাঁদলে আয়ু বাড়ে!

Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা সকলেই জানি যে হাসলে নাকি আয়ু বাড়ে। কিন্তু কাঁদলেও যে সেই একই কাজ হয় এটা মনে হয় অনেকেই জানতাম না। কিন্তু এক নতুন গবেষণা আবার বলছে যে এতে শুধু আয়ুই বাড়ে না। সঙ্গে ফ্রি আরও অনেক কিছু নাকি পাবেন। সুস্থ থাকার জন্য যারা ইতিমধ্যেই এককাঁড়ি টাকা খরচ করে লাফিং ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তারাও এবার ফেলবেন স্বস্তির নিঃস্বাস। কারণ তাদেরকে আর জোর করে টাকা দিয়ে হাসতে হবে না। এর থেকে বরং আড়ালে আবদারে সময় পেলেই একটু কেঁদে ফেলুন। ঘাড়ে চেপে বসা অবসাদকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার জন্যে এর থেকে মোক্ষম দাওয়াই আর পাবেন না।

আবার এতে মনটাও যেমন ঝরঝরে হয়ে উঠবে, তেমন আপনার দৃষ্টিশক্তিও নাকি আগের থেকে ভালো থাকবে। তাহলে জেনে নিন যে ঠিক কী কী সুফল পাওয়া যায় চোখের জল ফেললে?

১. সারা দিনের ধুলো-বালি চোখের খুব ক্ষতি করে। চোখের জল সেগুলো চোখের মধ্যে থেকে ধুয়ে বের করে দেয়। ফলে অস্পষ্ট দেখার সমস্যাও চলে যায়।

২. চোখের জলে অনেক বেশি মাত্রায় লাইসোজোম উপস্থিত। লাইসোজোম জীবানুনাশক। কাঁদলেই সেই জল মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই চোখের ৯০ শতাংশ ব্যাকটিরিয়া মেরে ফেলে। ফলে চোখের স্বাস্থ্য থাকে একেবারে ফিট।

৩. অবসাদ হলে কান্না তা থেকে মুক্তি তো দেয়ই। আবার সেই সঙ্গে দেহে উৎপন্ন টক্সিনও বের হয়ে যায় সেই জলের সঙ্গে।

৪. কাঁদলে ‘ফিল গুড’ ফ্যাক্টর এন্ডরফিনস্‌ তৈরি হয়। মুড তরতাজা রাখতে এর জুরি মেলা ভার। তাই তো কাঁদার পরই আমাদের মন অনেক হালকা লাগে।

৫. চোখের জল চোখে থাকা মিউকাস মেমব্রেনের ডিহাইড্রেশন রোধ করে। এতে এই জল আবার দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে।

সুতরাং, এবার থেকে আর লুকিয়ে কান্না নয়। কারণ কান্না আর ক্ষমতাহীন নেই। বরং নিজেও কাঁদুন আর অপরকেও কাঁদতে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.