টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় চাষের জমি! ‘আগুন’ ভোগের কপি



Odd বাংলা ডেস্ক: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মাথায় হাত কৃষকদের। দেড়-দু’মাসের পরিশ্রমের ফল কার্যত জলে ভেসে গিয়েছে। বৃষ্টি কমলেও দফারফা হয়ে গিয়েছে সবজির খেতের। এখনও আধ-হাটু জল দাঁড়িয়ে ফুলকপি, বাঁধাকপির খেতে। গ্রামবাংলায় মরসুমের প্রথম কপি ওঠার মুখেই জোর ধাক্কা খেল গ্রাম বাংলার চাষীরা। ফলে পুজোর ভোগের খিচুড়ির সঙ্গী কপিতেও টান পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 


বৃষ্টির জেরে বর্ষাশেষের প্রায় সব আনাজেরই দাম এখন ফের ঊর্ধ্বমুখী। আর পুজোর মরসুমে ভোগের বাড়তি চাহিদা থাকায় বাঙালির পছন্দের কপির দামও এক লাফে বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই।


ভাঙড়ের চাষিরা বলছেন, চাষের সময় বা ফসল তোলার মুখে খেতে এত জল আদৌ সহ্য করতে পারে না কপি। তাই বহু সংখ্যায় কপি ফেলে দিতে হয়েছে। এমনকি পৌষ বা মাঘের পরবর্তী ফলনের দিকে তাকিয়ে কপির বীজ থেকে তৈরি করা দানার ব্যবস্থা করাও মুশকিল। ফলে আগামী পর্যায়ের কপির ফলনেও টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।


আজকাল কপি অবশ্য শুধু শীতের আনাজ নয়। বছরভর বাঙালির পাতে হিমাচল বা বেঙ্গালুরুর কপির দেখা মেলে। পুজোর মুখে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে রাঁচীর কপিও ঢুকতে শুরু করেছে। ঠিক এই সময়েই ভাঙড়-সহ দুই ২৪ পরগনার নানা এলাকার ফুলকপি, বাঁধাকপির জোগান ঢুকে কপির বাজারদর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু এ বার বর্ষাশেষের লাগাতার বৃষ্টি কপির দফারফা করে ছেড়েছে।


ভাঙড়ের রিন্টু মোল্লা জানিয়েছেন, ‘‘ভাঙড়ে শুধু উঁচু জায়গায় কপি বা কপির দানা বেঁচেছে। বাকি সব শেষ!’’ সোমবার কলকাতার পাইকপাড়া বা বাঁশদ্রোনিতে বাঁধাকপি বিকিয়েছে ৫০ টাকায়। ফুলকপির দাম ২৫-৩৫ টাকা। আনাজের ভেন্ডর সংগঠনের কর্তা তথা কোলে মার্কেটের মুখপাত্র কমল দে জানাচ্ছেন, পুজোয় কপির দাম আরও বাড়তে পারে।ফুলকপির পাশাপাশি লঙ্কা,পালং শাক বা ক্যাপসিকাম চাষ যতটুকু শুরু হয়েছিল, তার অবস্থাও খুবই সঙ্গিন।

চাষীদের কথা অনুযায়ী, স্থানীয় কপি না-পেলে কপির দামও নির্ঘাত বাড়বে। অতএব পুজোর মেনুতে ফুলকপির ডালনা বা মাছ দিয়ে বাঁধাকপির পদে টান পড়ারও সমূহ সম্ভাবনা।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.