এসিডিসি ক্লাবের পুজোয় এবারের থিম স্বপ্নের দেশ


 
Odd বাংলা ডেস্ক: সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় ,কোচবিহার : কোচবিহারের এসিডিসি ক্লাবের পুজোয় এবারের থিম ‘স্বপ্নের দেশ।’ এই ক্লাবের পুজোতে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করলে তাঁদের মনে হবে তাঁরা যেন একটি স্বপ্নের দেশে চলে এসেছেন। চার দিকে লাল, নীল, সাদা, সবুজ আলো কিছুক্ষণ পরপর বদলে বদলে যাচ্ছে। সুন্দর সুন্দর ছবি, মণ্ডপের দেওয়ালে মা দুর্গার বড় বড় মুখের মডেল ঝোলানো। মা এখানে রাজস্থানী পোশাক পরিহিতা। কোচবিহারের বড় দুর্গা পুজোগুলির মধ্যে এসিডিসি ক্লাবের পুজো অন্যতম। এই পুজো এবারে ৬৭তম বর্ষে পা দিচ্ছে। পুজোর মণ্ডপ তৈরি করছেন চন্দননগরের শিল্পীরা। এখানে আলোকসজ্জাও হচ্ছে চন্দননগরের আলো দিয়ে। সব রকমের কোভিড বিধি মেনে, একেকবারে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীকে মণ্ডপে ঢোকানো হবে বলে জানয়িছেন এখানকার পুজোর উদ্যোক্তারা। 

এসিডিসি ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপনকুমার নাগ বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে সব মানুষই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে আমরা চেয়েছি মানুষকে আনন্দ দিতে। সেই ভাবনা থেকেই এই স্বপ্নের দেশ থিমটিকে আমরা বেছে নিয়েছি। এখানে এলে দর্শনার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য একটি স্বপ্নের দুনিয়ায় পৌঁছানোর সুযোগ পাবেন। আশা করছি আমাদের এই উদ্যোগ দর্শনার্থীদের ভালো লাগবে। কোচবিহার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লি এলাকায় এসিডিসি ক্লাবের পুজোর প্রস্তুতি অনেক দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এবারে এই ক্লাবের পুজোর বাজেট প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। এখানকার প্রতিমা নির্মাণ করছেন খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা মৃৎশিল্পী বাপী পাল। লম্বায় ১০ ফুট ও চওড়ায় ১৮ ফুটের মাটির প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মাটির প্রতিমার গায়ে থাকছে রাজস্থানী পোশাক। এখানকার মণ্ডপটি ৪০ ফুট উচ্চতার। বাঁশ, কাপড়, ফোম প্রভৃতি দিয়ে মণ্ডপটি নির্মাণ করা হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরের অংশে বেশ কয়েকটি পিলার থাকছে। দেওয়ালে থার্মোকল দিয়ে মায়ের ১৩টি মুখ ঝোলানো থাকছে। মণ্ডপের দেওয়ালে ও উপরের অংশে থাকবে নানা ধরনের কারুকার্য। সেই সঙ্গে মণ্ডপের ভিতরে উপরের দিকে থাকবে চাঁদ ও অংসখ্য পাখির মডেল। তার উপরে আলো পড়ে এক অদ্ভুদ আবহ তৈরি করবে। এছাড়াও মণ্ডপের বাইরের দিকেও নানা কারুকার্য থাকবে। মণ্ডপের ভিতরে লাল, সাদা, নীল প্রভৃতি আলোর পরিবর্তন ঘটবে। যা দর্শনার্থীদের একটি মায়াবী দুনিয়ায় নিয়ে যাবে। মোট ২২ জন শিল্পী চন্দননগর থেকে এসে প্রায় দেড় মাস ধরে এই মণ্ডপটি গড়ে তুলছেন। মণ্ডপের ভিতরের অংশের পাশাপাশি বাইরে থাকবে চন্দননগরের আলো। রাস্তার দুই ধারে লাগানো থাকবে কল্কা। এছাড়াও নানা ধরনের আলো দিয়ে মণ্ডপ ও তার চারপাশকে সাজিয়ে তোলা হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোভিড বিধি মেনেই সবকিছু করা হবে। মণ্ডপে ঢোকার আগে স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। যাঁদের মুখে মাস্ক থাকবে না তাঁদের মাস্ক দেওয়া হবে। একেকবারে ১০-১২ জন দর্শনার্থীকে মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। আগামী সোমবার এই পুজোর উদ্বোধন হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.