ফূর্তির খরচ যোগাতে প্রেমিকাকে দিয়ে ভিক্ষে করাচ্ছেন প্রেমিক

 


Odd বাংলা ডেস্ক: 'আমি তোমার প্রেমে হব গো ভিখারি' এমনটা কবিতায় সাহিত্যে শুনতে ভালো লাগে। তা বলে সত্যি কখনো যদি এমন হতে হয়, তাহলে তা কিন্তু মোটেও ভালো হবে না। কল্পনা নয়, কিন্তু এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। যা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক হইচই।

প্রেমের সময় ফূর্তির খরচ যোগাতে এক তরুণীর প্রেমিক তাকে দিয়ে রাস্তায় ভিক্ষে করিয়েছেন বলে দাবি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন এক তরুণী। রাস্তায় ভিক্ষা করতে বাধ্য করেছেন শুধু এটুকুই নয়, যেদিন কামাই কম হয়েছে, সেদিন তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করে ঐ যুবক বলে জানিয়েছেন তরুণী। 

 

জানা যায়, কানাডার পিটারবরো এলাকার ২২ বছর বয়সী নিকোল ক্লার্জেস নিজের ২১ বছর বয়সী বয়ফ্রেন্ড কাইল হেলম এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তার কার্যকলাপে অবাক হয়ে যান। নিকোল জানান, শুরু থেকেই জোরজবরদস্তি করতো কাইল। প্রথমেই তাকে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের থেকে আলাদা করে দেয় সে। তাও তিনি মেনে নিয়েছিলেন ভালোবাসার খাতিরে। 


তারা একই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন এবং খুব দ্রুত তারা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডেট করতে শুরু করেন। তবে একদিন কাইল নেশার ঘোরে নিকোলের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। বিরোধ করলে সে ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে দিনের পর দিন কাইল নিজের প্রেমিককে এর উপর নিজের লাগাম কষার চেষ্টা করতে থাকে। তাকে একমাত্র ক্রীতদাসীর মতো বানিয়ে ফেলার এবং তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।


নিকোল জানান যে অক্টোবর ২০১৮ তে কাইল এক ভিখিরির সঙ্গে দেখা করে আসেন এবং সে ভালো টাকা ভিক্ষা করে রোজগার করে বলে জানায়। আমাকে জোর করে ভিক্ষা করতে জোর করতে থাকে। পিটার্সবরো টাউনে ঠান্ডার মধ্যে ফুটপাতে আগন্তুক এবং পথচারীদের কাছ থেকে ভিক্ষা চাইতে বাধ্য করে নিকোলকে। ভয়ে সে একাজ শুরু করে। এরকম কয়েকদিন চলতে থাকে। ভালো ইনকাম হচ্ছিল। একদিন কামাই একটু কম হয়। কাইল ক্ষেপে যায়। নিকোলকে রাস্তার মাঝখানেই ব্যাপক মারধর করে। তারপর আর সহ্য করেননি তিনি। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নিকোল। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.