পুরোনো অন্তর্বাস বিক্রি করে মাসে তার আয় সাড়ে তিন লাখ

ODD বাংলা ডেস্ক: ছিলেন এয়ারহোস্টেস। সেখান থেকে উপার্জনের নতুন রাস্তা খুঁজে পেলেন। আর তাই ছেড়ে দিলেন চাকরি। নতুন কাজে যা আয়, তা আগের চাকরির থেকে অনেক বেশি। ফলে চাকরি ছাড়ার কথা দ্বিতীয় বার ভাবেননি তিনি। 

নতুন কাজের ব্যাপারে জানলে কিন্তু চমকে যেতে হয়। এই ঘটনা ইংল্যান্ডের। সেখানে ফ্লাইট অ্য়াটেন্ডন্টের কাজ করতেন এক তরুণী। তবে তিনি সে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন নতুন পেশার ব্য়াপারে। তিনি নিজের ব্যবহার করা অন্তর্বাস বিক্রি করে এত টাকা উপার্জন করেছেন যে নিজের চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন। তার বয়স ২৬ বছর। নাম জেসমিন পিঙ্ক। তাকে কাজ করতে হতো ১২ ঘণ্ট। আর ঘুমানোর সময় নিয়মিত বদলে যেত।  

তা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। বেশ কষ্টকর ছিল তার জন্য ঐ শিফ্ট। এরপর তার কী মনে হলো কে জানে! তিনি ঠিক করলেন ব্যবহার করা অন্তর্বাস খুঁজতে হবে। আর চষে ফেললেন বাজার। আর পেয়েও গেলেন। কাজে নেমে সাফল্যও দেখতে পেলেন তিনি। বছর দুয়েকের মধ্য়ে প্রচুর টাকা কামিয়ে ফেললেন। সেই টাকার পরিমাণ এতই বেশি যে এখন আর তাকে চাকরি করতে হয় না। 

তিনি জানান, এর জন্য বেশ কয়েকটি ধাপে তিনি এগিয়েছেন। প্রথমটা হলো সময়কে কাজে লাগানো। আর তারপর হলো অদ্ভূত সব জিনিস বানায় আর ব্যবহার করে এমন এক ওয়েবসাইটের হদিশ পাওয়া। তার নাম সোফিয়া গ্রে। সেখানকার ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। 

তিনি সাবস্ত্রিপশন বেসড ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করা শুরু করেন। আর সেখান থেকে খুব কম সময়ে অনেক টাকা উপার্জন করতে পেরেছেন। তিনি আরো আয় করার জন্য বিভিন্ন রকম কাজে যুক্ত হতে শুরু করেছিলাম। আর তা করতে গিয়েই সোফিয়া গ্রে নামের ওয়েবসাইটের সন্ধান পাই।

জেসমিন প্রথমবার দুই লাখ ২৭,১৯৩ টাকা আয় করেন। তখন তিন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের চাকরি করেছিলেন। আর এরপর তিনি অন্তর্বাস বেচে দেড় হাজার পাউন্ড উপার্জন করেন। তিনি আরো জানান, এরপর তার ব্যবহৃত অন্তর্বাসের চাহিদা বাড়তে থাকে। ক্রেতারা আরো বেশি টাকা দিয়ে তা কেনার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠেন। এখন তার আয় হয় ঈর্ষা করার মতো। এখন তিনি মাসে একটি অন্তর্বাস বেচে প্রায় তিন লাখ টাকা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.