ঠাণ্ডা না গরম, কোন দুধ বেশি উপকারী?
ODD বাংলা ডেস্ক: বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় দুধকে আদর্শ খাবার বলা হয়। দুধ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এর উপকারিতা অনেক। ছোট থেকে বড় সবার জন্যই দুধ পান করা জরুরি। কারণ শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম।
দুধ কেউ গরম খেতে ভালোবাসেন, কারও বা ঠাণ্ডা দুধ পছন্দ। দুধ ঠাণ্ডা বা গরম যেভাবেই খান না কেন তাতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
>> ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার একটি ভালো দিক হলো এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেশি ক্যালরি পোড়ে। তবে শীতকাল এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা দুধ না খাওয়াই ভালো। এই সময় ঠাণ্ডা দুধ খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে অবশ্য ঠাণ্ডা নয়, গরম দুধ খাওয়া উচিত।
>> ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। আর ভালো ঘুম বা হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধের প্রয়োজন। কার জন্য কোনটা উপকারী সেটা বুঝেই দুধ ঠাণ্ডা বা গরম খাওয়া উচিত। দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের ঠাণ্ডা দুধ এড়ানো দরকার। ঠাণ্ডা দুধ তুলনামুলকভাবে ভারী, হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকায় এটি সহজে হজম হয়।
>> দোকানে যেসব প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া তা পাস্তপরাইজ করার জন্য নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এই দুধ গরম করেই খেতে হয়। তবে টেট্রা প্যাকের দুধ ঠাণ্ডা অবস্থাতেও খাওয়া যেতে পারে। কারণ এই দুধ অতটা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না যাওয়ায় এর মধ্যের পুষ্টিগুণ বেশি মাত্রায় বজায় থাকে। তবে ঠাণ্ডা দুধ শুধুমাত্র সকালেই খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঠাণ্ডা দুধ খেলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।
Post a Comment