পেশী খিঁচুনি বা পেশীতে টান ধরলে কী করবেন

 


Odd বাংলা ডেস্ক:অনেক সময় শরীর দুর্বল থাকলে পেশীতে টান ধরে। রাতে ঘুমের ঘোরে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ে। এছাড়াও বেশী হাঁটলে এই সমস্যা হয়। অনেক সময় পা ভাজ করে বসে থাকার পর পা সোজা করলেই হঠাৎ করে পেশীর খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়। এই সব বিভিন্ন কারনে পেশীর খিঁচুনি হতে পারে।


অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে পেশীর খিঁচুনি হতে দেখা যায়। আর এই খিঁচুনি শুধু পায়ে নয়, অনেক সময় ঘাড় বা পিঠে হতেও দেখা যায়। অনেক সময় অতিরিক্ত ক্লান্তি হলে চোখে খিঁচুনি হতে দেখা যায়। এটা খুবই বিরক্তিকর। এই পেশীর খিঁচুনি থেকে মুক্তি পেতে নিজে নিজেই কিছু ব্যায়াম করুন।


আপনি যদি তির্যক ভাবে ঘুমান তাহলে অনেক সময় এই পেশীর খিঁচুনি হতে দেখা যায়। একভাবে অনেকক্ষণ শুয়ে থাকলে পেশীর খিঁচুনি হতে পারে। কারন ওই সময় শরীরের শিরা-উপশিরা গুলো ঠিক মত চলাচল করতে পারে না, তাই এই সমস্যা হয়। আসতে আসতে উঠে একটু হাটা চলা করলে তা ঠিক হয়ে যাবে।


দীর্ঘক্ষণ বা সারাদিন কম্পিউটারে আপনি যদি টাইপ করেন তাহলে পেশীর খিঁচুনি হতে পারে। এর জন্য একটি কাপে জল নিয়ে ফ্রিজে রেখে তা বরফ বানিয়ে খিঁচুনির জায়গায় ম্যাসাজ করলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।


ঠিকমত খাওয়া দাওয়া না করলে শরীরে পুষ্টির অভাবে পেশীর খিঁচুনির টান হয়। তাই ঠিক মত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। যেসব খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন থাকে সেই সব খাবার খান।


শরীরে যদি কোনো কারনে জল শুকিয়ে যায় তাহলে পেশীর খিঁচুনির টান হতে দেখা যায়। তাই পেশীর টান কমাতে বেশী করে জল খাওয়া উচিত। অনেক সময় বসার ধরন ঠিক মত না হলে পেশীতে টান ধরে। তাই ঠিক মত নিয়মে বসা দরকার।


সন্তান সম্ভবা মায়েদের জন্য বলে রাখি অনেক সময় আপনাদের পায়ের গোড়ালিতে টান ধরে। সেই সময় বেশী হাঁটা চলা না করে পা নিয়ে ডান দিক বাঁ দিক করে ব্যায়াম করলে তা ঠিক হয়ে যাবে। শরীরে ভিটামিনের অভাব হলেও পেশীর টান হয়। তাই মাছ, মাংস, ফল ও শাক সবজি খান বেশী করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.