শপিংমলে লুকিয়ে এসির হাওয়া খাওয়ার সময় আটক ৩ মেস মেম্বার



Odd বাংলা ডেস্ক:  শীত চলে গেলে চৈত্র বাংলার বুকে গ্রীষ্মকে ডেকে আনে এবং এই চৈত্রের আগমনের সাথে সাথে শোনা যায় গ্রীষ্মের পদধ্বনি। গ্রীষ্মের প্রখর তাপে সমস্ত ভূপ্রকৃতি যেন নির্জীব হয়ে ওঠে। কাঠফাটা গরমে গাছপালাও নিস্তেজ হয়ে যায়। প্রবল উষ্ণতায় গাছের পাতা নুইয়ে যায়, মাঝে মাঝে ঝোড়ো হাওয়ায় হলুদ পাতা গুলো খসে পরলেও কোথাও যেন এক অস্ফুট হাহাকারে ছেয়ে থাকে পরিবেশ।


শুধু প্রকৃতি নয়, মানব জিবনেও এর গভীর প্রভাব পরে। গরমকাল মানব জীবনকেও কেমন যেন নিস্তেজ করে দেয়। কর্মব্যস্ত জীবনে আসে অবসাদ। মাঠে পথে ঘাটে জীবনের সাড়া যেন খানিকটা হলেও কমে যায়। রাখাল ছেলে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়। পথিকজন পথের ক্লান্তি ঘোচাতে বিশ্রামের প্রহর গোনে।


গ্রীষ্মের দুপুরে শহরের দৃশ্য অবশ্য অন্যরকম। প্রচন্ড রোদে রাস্তার পিচ গলতে থাকে। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল কমে আসে। গলির ঝাঁপখোলা দোকানপাটে ঝিমধরা ভাব। ঘরেবাইরে কাজের হুড়োহুড়ি যেন ঝিমিয়ে আসে।


তবুও মানুষকে বাইরে বেরতে হয় পেটের দায়ে। কিন্তু আজ যে কাণ্ডটার কথা আপনাদের বলবো সেটা অবশ্য পেটের দায়ে নয়। বাংলাদেশের রাজধানি ঢাকা, সেখানে একটি শপিং মলে ঘটেছে এই ঘটনা।


৯ জন বালক একটি শপিং মলে ঢুকেছে এবং অনেকক্ষণ ধরে এই জামা সেই প্যান্ট দেখতে দেখতে ঘুরতে থাকে। সেলস্ম্যান বার বার এসে তাদের জিজ্ঞেস করায় তারা জানাই যে অনেক জিনিস নেবে তাই নিজেরাই নিয়ে জানাবে। কিন্তু এইভাবে কেটে যায় ঘণ্টা দুয়েক।


তারপর দেখা যায় যে তারা তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং সেই মলের সিসি টিভিতে সেলস্ম্যান দেখতে পান যে তারা মলের কোনায় দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া খাচ্ছে। জামার বোতাম খুলে তারা এই কাজ করছে দেখে সেই শপিং মলের সিকুইরিটিকে বলে তিন জনকে আটক করা হয়।


জানা যায় যে তারা তিন জন মেসে থাকে এবং তারা কিছু কিনতে বা দেখতে শপিং মলে আসেনি, বরং তারা এসছে শপিং মলের এসির হাওয়া খেতে, তারপর তাদের কান ধরে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.