দুপুর ১টা বাজলেই যেভাবে গভীর সমুদ্রের মাঝে এই মন্দিরে জেগে ওঠেন মহাদেব

 


Odd বাংলা ডেস্ক:ধর্মের সাথে মানুষের বিশ্বাসের এক অকল্পনীয় সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে মানুষ তার বিশ্বাসকে ধর্মের মোড়কে মুড়ে তুলে ধরেন। অনেকে একে আবার কুসংস্কারও বলে থাকেন। এ হল এক রকমের বিশ্বাস। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে এই পৃথিবীর বুকে এমন অনেক কিছু ঘটে থাকে যা বিজ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয় না।


মানুষ পৃথিবীতে এসেছে অনেক পড়ে, তার কোটি কোটি বছর আগে বহু যুগ ধরে সৃষ্টি হয়েছে এই পৃথিবী। রহস্যে মোড়া এই পৃথিবীর বুকে এমন অনেক কিছু প্রতিনিয়ত ঘটে যার অনেক কিছুর ব্যখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারলেও কিছু ঘটনার ব্যখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারে না।


পৌরাণিক গল্প গাথা থেকে শুরু করে আশ্চর্য সব কাহিনী আমরা অনেক আগে থেকেই শুনে এসছি। সেগুলি কিছু কিছু আমরা বিশ্বাস করি, কিছু কিছুকে হেসে উড়িয়ে দিয়ে থাকি। তবে এমন অনেক উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আসে যা ব্যখ্যা করতে গেলে সব সময় সঠিক যুক্তিযুক্ত তথ্য দেওয়া যায় না।


তেমনই এই মন্দিরটি আমাদের দেশের গুজরাট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে আরব সাগরের মধ্যে অবস্থিত। এটি নিশকলঙ্গেশ্বর শিব মন্দির। লোক মুখে প্রচলিত আছে যে মহেশ্বর নাকি এখান থেকে খালি হাতে কাউকে ফেরত পাঠান না।


আপনার মনস্কামনা সম্পূর্ণ রুপে পূর্ণ হবে যদি এই মন্দিরে গিয়ে একবার শিবের দর্শন করতে পারেন। তবে শিবের দর্শন কিন্তু এখানে সহজে মেলে না। প্রকৃতি দেবী মাঝ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা এই মন্দিরের প্রবেশ পথ সব সময় খোলা রাখেন না।


দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে মেলে শিবের দর্শন। এই সময় ছাড়া অন্য সময় গেলে মন্দিরে প্রবেশ সম্ভব নয়, প্রকৃতি দেবী আগলে রাখেন সেই পথ। সেই পথ সমুদ্রের জলে ঢেকে যায়।


ভগবানের এই অপরিসীম লীলা খেলার কি অপূর্ব নিদর্শন। প্রকৃতি দেবী দুপুর ১ টাতেই খুলে দেন সেই পথ, একমাত্র তখনই যেতে পারেন সকলে। অন্যান্য মন্দিরে যখন আলাদা করে প্রহরি রাখতে হচ্ছে, সেখানে প্রকৃতি স্বয়ং আগলে রাখেন মহাদেবকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.