মানুষের মধ্যে ফিরে এলো মোগলি, সুট-বুট পরে যাচ্ছে স্কুলে
ODD বাংলা ডেস্ক: ছোট বেলায় ‘মোগলি’ কার্টুন দেখেনি এমন মানুষ খুব কম। যে মানব শিশুটিকে লালন-পালন করে বড় করে জঙ্গলের পশুরা। তার খাবার থেকে শুরু জীবনযাপনের সবকিছুই হয় পশুদের মতো। তবে এসব শুধুই গল্প ছিলো। তবে শুনতে অবাক লাগলেও এমনিই এক ২১ বছর বয়সী যুবকের দেখা মিলেছে আফ্রিকায়।
আফ্রিকান দেশ রুয়ান্ডার জঞ্জিমান এলি নামের এক ব্যক্তির গল্প এখন শিরোনামে। জঞ্জিমানকে 'রিয়েল লাইফ মোগলি' বলা হচ্ছে। জঞ্জিমান জঙ্গলে পশুদের সঙ্গে বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন জঙ্গলে পশু, পাখিদের সঙ্গে বসবাসের পর তার কর্মকাণ্ড মানুষের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়। তবে এখন আস্তে আস্তে তার জীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তিনি এখন স্কুলে যাওয়াও শুরু করেছেন।
জানা যায়, জঞ্জিমান অ্যালি ১৯৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর তিনি মাইক্রোসেফালি রোগে ভুগছিলেন। যে কারণে তার মুখের গঠন পরিবর্তন হতে থাকে। মাথা শরীরের তুলনায় অনেক ছোট হয়ে যায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জঞ্জিমানের চেহারার আরো পরিবর্তন হয়। তাকে উত্যক্ত করত অনেকেই।
মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়ে জঞ্জিমান তার পরিবার ছেড়ে জঙ্গলে বসবাস শুরু করেন। নিজের বেশিরভাগ সময় বনে কাটাতেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা যতই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুক না কেন, সে পালিয়ে বনেই চলে যেত। শৈশব থেকেই বনে পশুর মাঝে থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। বহু বছর ধরে জঙ্গলে 'মোগলি'র মতো জীবনযাপন করত জঞ্জিমান।
জঞ্জিমানের কথা জানতে পেরে তাকে মানুষের মাঝে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা শুরু হয়। আফ্রিম্যাক্স টিভি তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করে। সারা বিশ্বের মানুষ তাকে ফেরাতে এগিয়ে এসেছে। জঞ্জিমান এখন তার মা পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
আতিনকার খবর অনুযায়ী, আলির অনুদান থেকে সংগৃহীত অর্থের সাহায্যে এখন জাঞ্জিমান স্বাভাবিক জীবনযাপনের পথে। তাকে বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তিও করা হয়েছে। শার্ট-প্যান্ট পরা শুরু করেছেন তিনি। বনের বদলে নিজের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেছেন। গত বছর জাঞ্জিমানের জীবন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়।
Post a Comment