প্রেম করতে গিয়ে পরীক্ষায় ফেল, প্রেমিকাকে দোষ দিয়ে টাকা দাবি যুবকের

 


Odd বাংলা ডেস্ক:  প্রথম প্রথম প্রেমে পড়লে সবারই একটু ডানা গজায়। তাই বলে পরীক্ষায় ফেল করেছে বলে প্রেমিকাকে দোষ এটা আবার কেমন কথা। হতেই পারে প্রথম প্রেম করলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে বা অন্য কোন কাজে মন না থাকাটাই স্বাভাবিক। এই ব্যাপারটাতে ছেলে বা মেয়ে কাউকেই কখনো দোষ দেওয়া যায় না। পড়াশোনা করা না করা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপার।


বর্তমানে সবাই প্রেম করলেও নিজের কেরিয়ারের চিন্তা করবে না এটা আবার কেমন কথা। আওরঙ্গাবাদের এক যুবক প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় পাশ করতে পারলো না বলে প্রেমিকাকে দোষারোপ করলো। শুধু দোষারোপ করাই নয় তার থেকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা দাবিও করেছে।


তার বক্তব্য প্রেমে জন্য প্রেমিকাকে সময় দিতে গিয়েই নাকি সে পড়তে বসার সময় পায়নি। জানা যায় যে প্রেমিক আর প্রেমিকা একই সাথে একই জায়গায় পড়াশোনা করতো। ব্যাচেলর অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি নিয়ে পড়াশোনা করছিল উত্তরপ্রদেশের এক যুবক।


সেই কোর্সে পড়ার সময় তাদের মধ্যে আলাপ হয়। তারপর দুজনের মধ্যে প্রেম শুরু হয়। তারপর যখন বছরের শেষে রেজাল্ট বেরোলো, তখন দেখা গেল প্রেমিকা পাশ করে গেছে। কিন্তু প্রেমিক পাশ করতে পারলো না। তার কারন কি শুধুই প্রেম করা? প্রেমতো অনেকেই করে তাই বলে পড়াশুনা করবে না এটা ঠিক নয়।


নিজে পড়াশোনা না করে ফেল করলো আর দোষ দিলো প্রেমিকাকে। ছেলেটি বলে তার এই ফেল করার জন্য সম্পূর্ণ দায়ি তার প্রেমিকা। তাই সে বলেছে তার প্রথম বছর পড়াশোনা করতে গিয়ে যা টাকা খরচ হয়েছে তার সবটাই দিতে হবে প্রেমিকাকে।


প্রেমিকা তার এই বক্তব্য শুনে কখনোই তাকে টাকা দিতে রাজি হয়নি। সে বলেছে এই ঘটনার জন্য এক টাকাও দিতে পারবে না এবং তার সাথে কথা বলা, যোগাযোগ করা, দেখা করা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় প্রেমিকা। সে এই কথাটা মানতে পারছেও না।


কিন্তু এর ফলে যেটা হল, ছেলেটি বিভিন্ন রকম ভাবে প্রেমিকাকে উত্তেজিত করে। টাকা দিতে রাজি নয় বলে তাকে নানা দিক থেকে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। তাকে ও তার পরিবারকে নিয়ে সোশাল মেডিয়াতে নানা কুরুচিকর পোস্ট করে। বাধ্য হয়ে মেয়েটির বাড়ির লোক পুলিশকে জানায়। অবশেষে ছেলেটিকে অ্যারেস্ট করে পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.