পূজারী সেজে ভক্তদের প্রতারণা রুখতে কড়া পদক্ষেপ,পুরীর মন্দিরে চালু হল পোশাকবিধি


ODD বাংলা ডেস্ক: পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে এবার নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, সেবায়েত, পান্ডাদের পাশাপাশি শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের কর্মচারীদের প্রবেশের জন্য শুরু হচ্ছে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি।

পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্ত অুসারে, মন্দিরের গর্ভগৃহে এবং পুজোর জন্য যে সেবায়েতরা আসবেন, তাঁদের ধুতি, পট্টবস্ত্র এবং গামছা থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের ভিতরে সেবায়েত যতক্ষণ থাকবেন, ততক্ষণ সরকার অনুমোদিত সচিত্র পরিচয়পত্র গলায় ঝোলানা বাধ্যতামূলক। শ্রীমন্দিরের নিজস্ব কর্মচারীদের ধুতির সঙ্গে সাদা শার্ট ও কাঁধে লোগো দেওয়া ব্যাজ এবং সচিত্র পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাখতে হবে। জগন্নাথধামে পুজো দিতে আসা কোটি কোটি ভক্তকে প্রকৃত সেবায়েতদের মাধ্যমে দেবতাকে অর্ঘ্য পৌঁছে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন শ্রীমন্দিরের প্রশাসক।

জানা যায়, পূজারী নন এমন বহু মানুষ নিজেদের পূজারী বলে দাবি করে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে প্রভাবশালী পুরোহিত বলে জাহির করছেন। তাঁদের বাড়বাড়ন্ত রোধ করতেই এমন পোশাকবিধি চালু বলে স্বীকার করেছেন মন্দির পরিচালন কমিটির প্রবীণ সদস্যরা। 

শ্রীমন্দিরের অন্যতম পূজারী বনমালী কুন্তিয়া বলেন, “যাঁদের পুজোর অধিকার নেই, তাঁরাও মন্দিরে এসে ভক্তদের ঠকিয়ে পূজারী সাজছেন। পোশাকবিধি চালু হলে ভক্তরা সঠিক ব্যক্তির হাত দিয়ে দেবতাকে পুজো দিতে পারবেন।” কমিটির এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন মন্দিরের প্রধান দৈতাপতি জগন্নাথ সোয়াইন থেকে শুরু করে পুরীর রাজগুরু দেবীপ্রসাদ মহাপাত্র।

প্রসঙ্গত, এমনিতে অহিন্দুদের পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিলই। এছাড়া কিছুদিন আগে পর্যন্ত পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি বলে কোমরের বেল্ট, মানিব্যাগ নিয়েও শ্রীমন্দিরে ঢুকতে দিত না কর্তৃপক্ষ। মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা নিয়ে ভক্তদের প্রবেশে বহুকাল নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেবায়েত বা পান্ডাদের ক্ষেত্রে প্রায় সব কিছুতেই ছাড় ছিল। এবার তাদের জন্যও শুরু হতে চলেছে বিধিনিষেধ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.