যে ৪ কারণে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে পিছিয়ে যান অনেকেই!

Odd বাংলা ডেস্ক: সবার প্রথমে একটা বিষয় স্পষ্ট করে না নিলেই নয়! যাকে আসেক্সুয়ালিটি বলা হয়, অর্থাৎ যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য কারও প্রতিই যৌন আকর্ষণ বোধ করে থাকেন না অনেকে, তার সঙ্গে এই বিষয়টির একটি পার্থক্য আছে। এ ক্ষেত্রে কামতাড়না উপস্থিত থাকে প্রবল ভাবেই, কিন্তু কয়েকটি বিষয়ের জন্য অনেকে সাহস পান না, পিছিয়ে যান শেষ পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে।

মনোবিদরা বলছেন যে এ হেন মনোভাবকে বলা হয়ে থাকে জেনোফোবিয়া (Genophobia)। এবং এই মনোভাবের ব্যাপারটা শৃঙ্গার বা ফোরপ্লে নয়, এসে ঠেকে অন্যের শরীরে প্রবেশ করা অর্থাৎ পেনেট্রেশনের ক্ষেত্রে। এর নেপথ্যে কাজ করে মূলত চার ধরনের বিষয়। সেগুলো কী, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!

১. কামকুশলতা নিয়ে উদ্বেগ অনেকেই আছেন, যাঁদের যৌন অভিজ্ঞতা থাকে না। সেই জায়গা থেকেও দেখা দিতে পারে জেনোফোবিয়া। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উদ্বেগে থাকেন এই ভেবে যে তিনি সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে তৃপ্ত করতে পারবেন কি না! এই বিষয়টা নিয়ে মনের মধ্যে কাজ করে চলে এক ধরনের হীনম্মন্যতা। সেখান থেকে যৌন সম্পর্কে না যাওয়াটাই উচিৎ সাব্যস্ত করে থাকেন অনেকে!

২. অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এই ভয় যেমন মহিলাদের মধ্যে, তেমনই পুরুষদের মধ্যে সমান ভাবে সক্রিয় থাকে বলে জানাচ্ছেন মনোবিদরা। এর সঙ্গে জুড়ে থাকে কন্ডোম পরতে না চাওয়ার বিষয়টিও। দুই মিলিয়েই একটা দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন অনেকে।

 ৩. যৌন অসুখের সংক্রমণ সিফিলিস, গনোরিয়া, হারপিস, হেপাটাইটিস এ আর বি, এইডস- এমন সব যৌন অসুখের সংক্রমণের বিষয়টিও দ্বিধাগ্রস্ত করে রাখে অনেককে। ফলে, বিয়ের আগে তো বটেই, কখনও কখনও বিয়ের পরেও শারীরিক মিলন নিয়ে একটা উদ্বেগ কাজ করতে থাকে।

৪. অতীত আতঙ্ক ছোটবেলায় কোনও ব্যক্তি যদি শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর মনে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন মনোবিদরা। সেই জায়গা থেকে অন্যের স্পর্শ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আতঙ্কিত করে তোলে! সব মিলিয়ে, তাঁরা যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.