তিন কোটি বছরের পুরোনো ‘ড্রাগনের দাঁত’ পাওয়া গেল মিশিগানে!

Odd বাংলা ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ছয় বছরের একটি শিশু খুঁজে পেয়েছে অদ্ভুত আকৃতির শক্তিশালী দাঁত। শিশুটি ভাবে এটি কোনো ড্রাগন বা ডাইনোসরের দাঁত। ডাইনোসর হিল নেচার রিজার্ভে বাচ্চাটি হাঁটতে যায়, আর তখনই খুঁজে পায় এই দাঁত। যা পরবর্তীতে জীবাশ্মবিদদের দ্বারা মাস্টোডনের দাঁত হিসেবে পরীক্ষা করা হয়। মাস্টোডনরা হলো হাতির পূর্বপুরুষ। 

শিশুটির নাম জুলিয়ান গ্যাগন। ছেলেটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোচেস্টার হিলসের ডাইনোসর হিল নেচার রিজার্ভে সেপ্টেম্বর মাসে ভ্রমণে যায়। তখন এই বিশাল দাঁতটি পান। 

জুলিয়ান বলেছিল, যখন জুলিয়ান হাঁটছিল তখন তার পায়ে আঘাত করে। তারপর সেটা তুলে নিয়ে যায়, আমি ভেবেছিলাম এটা কোনো ড্রাগন বা ডাইনোসরের দাঁত। গুগল সার্চ করে পরে এটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। তবে  ডাইনোসর বা ড্রাগন বলে অনুমান করা হয়। জুলিয়ান খুব খুশি হয়ে ওঠে।

এই শিশু দাঁত পাওয়ার খবর মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের বিজ্ঞানীদের জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের বিজ্ঞানীরা এসে জুলিয়ানের অনুমতি নিয়ে দাঁতটি পরীক্ষা করে। তারপর জানা গেল যে এটি হাতির পূর্বপুরুষ মাস্টোডনের। মাস্টোডন বর্তমান হাতির পুরোনো পূর্বপুরুষ। এই জিনিসটি প্রায় দুই দশমিক ৭০ কোটি থেকে তিন কোটি বছরের পুরোনো। এই মাস্টোডনের প্রজাতি ১০ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

সান দিয়েগো ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম অনুসারে, মাস্টোডন পৃথিবীর বেশিরভাগ বনে বাস করতো। বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায়। তাদের উচ্চতা ছিল ৮ থেকে ১০ ফুট। এদের ওজন প্রায় ছয় টন। প্যালিওন্টোলজিস্ট অ্যাডাম রনট্রে বলেন, জুলিয়ানের পাওয়া দাঁত পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে যে এটি মাস্টোডনের মোলার। 

এটা ম্যামথের দাঁত নয়। ম্যামথরা হাতির পূর্বপুরুষ ছিল, যারা তুষার যুগে শাসন করেছিল এবং এতে মারাও গিয়েছিল। মাস্টোডন সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, জুলিয়ান জানায় যে সে বড় হয়ে জীবাশ্মবিদ হতে চায়। কারণ তিনি প্রথমবারের মতো একটি প্রাচীন প্রাণীর দাঁত আবিষ্কার করে। গত বছরের মে মাসে মেক্সিকো সিটিতে একটি বিশালাকৃতির দেহাবশেষ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী ও মানুষের হাড়ও সেই স্থানে পাওয়া গেছে। 

মেক্সিকোর ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি জানিয়েছে, যে নির্মাণস্থলে পাওয়া ম্যামথের দেহাবশেষ প্রায় ১৫ হাজার বছরের পুরোনো। বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার সেই জায়গায় তৈরি হতে চলেছে যেখানে এই দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। সে সময় এই স্থানে ম্যামথ শিকার করা হত। তবে পরবর্তীতে এই হ্রদ শুকিয়ে যায়। তখন থেকে, এখানে ম্যামথের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় এবং প্রত্নতাত্ত্বিকবিদেরা এখনও কাজ করছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.