ত্বক ও চুলের কঠিন সমস্যার সমাধান দেবে বিটরুট

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  ত্বক ও চুল নিয়ে নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কত কিনা ব্যবহার করেন। অনেকেই আবার বিভিন্ন প্রসাধনীও ব্যবহার করেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই সমাধান মেলে না। জানলে অবাক হবেন যে, মাত্র একটি উপাদানেই মিলবে ত্বক ও চুলের সব সমস্যার সমাধান। সেই উপকারী উপাদানটি হচ্ছে বিটরুট।

বিটরুট ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় কীভাবে ব্যবহার করবেন বিটরুট- 


ডার্ক সার্কেল দূর করতে

বিটরুটের রসের সঙ্গে মধু এবং দুধ মেশান। এবার কটন বাড দিয়ে মিশ্রণটি চোখের চারপাশে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে

বিটরুটের রস ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। চাইলে পেস্ট করা বিটরুটের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষতে পারেন। এতে মরা কোষ দূর হবে এবং ঠোঁট হবে কোমল।


চুল পড়া প্রতিরোধ করে

বিটরুটের রস চুলের গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ধুয়ে নিন। হেয়ার মাস্কের জন্য রসের সঙ্গে কফি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি কন্ডিশনার হিসেবেও ভালো কাজ করে।


গোলাপি উজ্জ্বল ত্বক পেতে

বিটরুট টুকরো করে কেটে মুখে এবং ঘাড়ে ঘষে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল গোলাপি।


খুশকি তাড়াতে

সামান্য ভিনেগার অথবা নিমের জল বিটরুটের রসে মেশান। মাথায় লাগানোর কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  এটি খুশকি দূর করে চুল করবে মসৃণ এবং ঝরঝরে।


মসৃণ ত্বক পেতে

এটি বিটরুট ব্লেন্ড করে এতে দুই চামচ দই এবং সামান্য আলমন্ড অয়েল মেশান। মিশ্রণটি মুখ এবং শরীরে ম্যাসাজ করে নিন। ১০-২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


বলিরেখা প্রতিরোধে

বিটরুট রসের সঙ্গে মধু এবং দুধ মেশান। এই মাস্কটি সারা মুখে পাতলা করে লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে এক বা দুই বার এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি বলিরেখা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।


ব্রণ দূর করতে

বিটরুটের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ টমেটোর রস মেশান। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করতে সহায়তা করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.