বাতের ব্যথায় যারা কষ্ট পান, টক হলেও তেঁতুল খান!

ODD বাংলা ডেস্ক: ‘তেঁতুল পাতা, তেঁতুল পাতা তেঁতুল বড় টক.....’ বাংলা এমন একটি গানের লাইনের কথা মনে পড়ে গেলো। টক হলেও তেঁতুল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তেঁতুল ও তেঁতুলের পাতায় রয়েছে অনেক প্রকার স্বাস্থ্যগুণ। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি গুণ রয়েছে এই তেঁতুলে।
১. তেঁতুল শরীরে কোলেস্টরেল কমায়।

২. নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে সহজে মেদ জমে না।

৩. যাদের পেটে গ্যাস জমে তারাও তেঁতুল খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সরাসরি তেঁতুল না খেয়ে ৩/৪ দানা পুরাতন তেঁতুল এক কাপ পানিতে গুলিয়ে চিনি বা লবণ দিয়ে খাওয়া ভালো। রাত্রে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণটি খেলে পেটে গ্যাস জমে না।

৪. বাতের ব্যথায় যারা কষ্ট পান। তাদের জন্য তেঁতুল পাতা খুবই উপকারী। বিশেষ করে পূর্ণিমা বা আমাবশ্যায় যাদের পায়ে-হাটুতে কিন্বা হাতের অংশ ফুলে ওঠে তাদের বেলায় এক্ষেত্রে তেঁতুল পাতা তালের হাড়িতে প্রথমে সেদ্ধ করতে হয়। তারপর সেই সেদ্ধ তেঁতুল বেটে অল্প গরম করে ফোলা কিম্বা ব্যথা স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা কমে যায়।

৫. তেঁতুলকে অনেকেই আমাশা রোগের কারণ বলে মনে করেন। বাস্তবে দেখা যায় বেশি তেঁতুল খেলে পেট খারাপ করে। তবে আমাশা রোগের ক্ষেত্রে তেঁতুল পাতা সিদ্ধ করে ছেকতে হয়। তারপর সেই পাতা সেদ্ধ জল জিরে ফোড়ন দিয়ে খেতে হয়। ২/৩ দিন খেলে পেটে জমে থাকা মিউকাস বেরিয়ে যায় এবং শরীর দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠে। তেঁতুল পাতার এই ওষুধটি পুরানো ক্ষত সারাতেও ব্যবহার করা যায়। তেঁতুল পাতার সিদ্ধ জল দিয়ে ক্ষত স্থানে ধুয়ে দিলে তাড়াতাড়ি সারে। মুখের মধ্যে ক্ষত হলে তেঁতুল পাতা সিদ্ধ জল মুখে নিয়ে অন্তত ৫ মিনিট রেখে ফেলে দিতে হয়। এভাবে ২/৩ দিন মুখে জল রাখলে মুখের ক্ষত সেরে যায়।

৬. পিত্ত বিকারের কারণে অনেকেই প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়ায় ভোগেন। এক্ষেত্রে তেঁতুল পাতার রস খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া দূর হয়। আবার গরমের দিতে তেঁতুলের ঠাণ্ডা সরবত পরিমিত মাত্রায় খেলে শরীরের জন্য ভালো।

* অর্শ্ব রোগিদের এই সরবত খাওয়া মোটেও উচিত নয়। অর্শ্ব রোগের আক্রান্ত হয়ে যাদের শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যায়। তারা পুরানো তেঁতুল সিদ্ধ জল খেতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.