সম্পর্কে বিশ্বাস ধরে রাখার কিছু সহজ উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সম্পর্ক সুস্থ ও দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে সেখানে বিশ্বাস থাকাটা অনেক বেশি জরুরি। কারণ একে অপরের প্রতি যদি বিশ্বাস না থাকে তবে সেই সম্পর্ক কখনোই সুখের হয় না। আবার এই অসুখী সম্পর্ক বেশিদিন টিকেও না।

বিশ্বাস একটি অদৃশ্য অথচ শক্তিশালী আঠা যা দুজন মানুষকে একসঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে। যে সম্পর্কে বিশ্বাসের ভিত শক্ত, সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। কারণ বিশ্বাস থেকেই গড়ে ওঠে ভালোবাসা, সম্মান, একে অন্যকে নিরাপদ রাখার তাগাদা। তাই সম্পর্কে বিশ্বাস গড়ে তোলা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমন কিছু সহজ উপায় যা বিশ্বাস ধরে রাখতে সহায়তা করবে-


সম্মান করুন

যদি আপনি কাউকে ভালোবাসেন, তাহলে তাকেও আপনার সম্মান করতে হবে। দুজনের মধ্যে যত বেশি শ্রদ্ধা তৈরি হবে, প্রেম তত বেশি হবে। আপনার সঙ্গী কীসে অসম্মানিত বোধ করেন তা খুঁজে বের করুন। আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।


সঙ্গীকে স্পেস দিন

সঙ্গী মানেই সবটুকু সময় পরস্পরের জন্য বরাদ্দ রাখা নয়। তাই একে অন্যকে স্পেস দিতে শিখুন। নিজের ভালোলাগার জায়গাগুলো উপভোগ করতে শিখুন। একইভাবে সঙ্গীর ক্ষেত্রেও এমনটা ভাবুন। এতে করে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।


পরিবর্তন মেনে নিন

পরিবর্তন অনিবার্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুতেই পরিবর্তন আসে। সম্পর্কের শুরুটা যেমন থাকে, শেষ পর্যন্ত তেমন না-ও থাকতে পারে। তবে আমূল বদলে গেলে ভিন্ন কথা। ছোট ছোট পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিন। খেয়াল করে দেখুন, আপনিও কিন্তু একইরকম নেই। একে অন্যের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে চললে সম্পর্কে বিশ্বাস শক্ত হবে।


কারণ খুঁজে বের করুন

দুজন একসঙ্গে কী কারণে থাকছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। খুঁজে খুঁজে ইতিবাচক দিকগুলো বের করার চেষ্টা করুন। কারণগুলো সঠিক কি না তা-ও যাচাই করে নিন। সম্পর্কের চারপাশে একটি বিশ্বাসের কাঠামো তৈরি করুন। যাতে সহজেই কেউ তা ভাঙতে না পারে।


জীবনকে সিনেমা ভাববেন না

সিনেমায় যে ধরনের রোমান্স দেখানো হয় তা আশা করবেন না। আপনার সম্পর্ক এবং রোমান্স সম্পর্কে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখুন। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে সত্যিকারের রোমান্স শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ফল। আপনার প্রত্যাশাগুলো যেন সঙ্গীর সামর্থ্যকে ছাড়িয়ে না যায়। ভালো থাকার জন্য চাহিদার পরিসর আরেকটু গুটিয়ে আনতে হবে।


পরিবারকে জড়িয়ে কথা বলবেন না

সম্পর্কে ছোটখাট ঝগড়া হবেই। কিন্তু একে অন্যকে আঘাত করার জন্য পরস্পরের পরিবারকে টেনে আনবেন না। এটি অসম্মানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চিহ্ন। যদি আপনি একটি সুস্থ সম্পর্ক রাখতে চান তবে সেই রাস্তা কখনো বেছে নেবেন না। কারণ পরবর্তীতে ঝগড়া মিটে গেলেও পরিবারকে অপমানের কথা সঙ্গীর মাথা থেকে কখনোই যাবে না।


অনুভূতির প্রকাশ করুন

আপনি যা অনুভব করছেন তা প্রকাশ করুন। আপনি যদি কথা বলতে খুব ভয় পান, তাহলে এটি ভবিষ্যতকে আপনার জন্য কঠিন করে তুলবে। সম্পর্কের সুবিধার জন্য মন খুলে কথা বলতে শিখুন। অযথা বানিয়ে বলতে যাবেন না। এতে সঙ্গী আপনার চালাকি বুঝতে পেরে বিরক্ত হতে পারে। সেইসঙ্গে বিশ্বাসের জায়গাটাও নড়বড়ে হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.