শিশুর ত্বকের বাড়তি যত্নে করণীয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি নরম আর পাতলা হয়। খুব বেশি সংবেদশীল হওয়ায় শিশুদের ত্বকের প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। এজন্য স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিম,প্যারাবেন ও অ্যান্টিওবায়োটিকসযুক্ত ক্রিম শিশুদের ত্বকের ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। তবে একটি ভালো দিক হলো, আবার শিশুদের ত্বকের যেকোন সমস্যা বড়দের তুলনায় তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়। তবে শিশুদের ত্বক ১ থেকে ২ বছরের আগে পরিপক্ক হয় না। এজন্য আলাদা যত্নের অবশ্যই প্রয়োজন।


সানস্ক্রিন ব্যবহার:

শিশুর ত্বকে র‌্যাশ বা এ জাতীয় কিছু হলে তার জন্য অধিক রোদের তাপ বা শিশুর পোশাক দায়ী হতে পারে। অনেকেই ভেবে থাকেন শিশুদের ত্বকের সানবার্ন হয় না। কিন্তু এ ধারণা ভুল। সকালে ১০ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিশুর স্কিনে রোদ লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজারে শিশুদের আলাদা সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে ব্যবহার করুন।


ময়েশ্চারাইজার:

শিশুদের ত্বকে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে কারণ বাচ্চাদের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার খুব কম থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে খুব হালকা ময়েশ্চারাইজর ব্যবহার করুন।


পিএইচ:

শিশুদের স্কিনের পিএইচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বাচ্চাদের ত্বকের পিএইচ জন্মের সময় থাকে ৭, এরপর ৫ থেকে ৫.৫ হয়। আর বড়দের স্কিনে অ্যাসিডিক পিএইচ থাকে।  আর অ্যাসিডিক পিএইচ আমাদের ত্বককে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।


শিশুদের জন্য সেবামেড রেঞ্জ ত্বকের পিএইচ এর উপর কাজ করে এবং ত্বককে রক্ষা করার জন্য দ্রুত পিএইচকে অ্যাসিডিক পিএইচে পরিবর্তন করে। কোন জ্বালা সৃষ্টি করে না এমন পণ্য ব্যবহার করতে হবে যাতে অ্যালানটোইন এবং ক্যামোমাইল থাকে এবং যার মধ্যে প্যারাবেনস নেই। ওটমিলসহ অ্যাভিনো ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজ করে।


র‌্যাশ:

শিশুর ত্বকে র‌্যাশ বা লাল ফুসকুড়ি দেখা দিলে শিশুকে গরমে রাখা যাবে না। কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে এমন হয়। এজন্য শিশুকে হালকা সুতির পোশাক পরতে দিতে হবে। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে চুলকানি, অ্যালার্জি এবং এ থেকে হাঁপানির সমস্যা হতে পারে।


 প্রথমত সমস্যার কারণ খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। অনেক সময় একটানা ডায়াপার পরার কারণে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। এ সময় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।


খুশকির সমস্যা:

ক্র্যাডল ক্যাপ খুশকির মতো দেখালেও চুলে বা কানের চারপাশে বা ভ্রুতে হলুদ হয়ে থাকে। এ সমস্যায় আক্রান্ত ওই জায়গাটি ভালোভাবে ধুয়ে তারপর তেল ব্যবহার করতে হবে। এরপর শিশুর উপযোগী ভালো একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।


একজিমা:

শিশুদের ক্ষেত্রে একজিমা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এতে শুষ্ক লাল ছোপ ছোপ দেখা দেয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে শিশুকে বুকের ‍দুধ খাওয়াতে হবে, গরম জলে স্নান বাদ দিতে হবে, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে, শিশুর খাদ্যে অ্যালার্জি জাতীয় কোন পণ্য আছে কি না তা খুঁজে বের করতে হবে আর ধুলা-বালি থেকে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না তা চিহ্নিত করতে হবে। 


এক্ষেত্রে বেশ কিছু উপাদান যেমন ক্যামোমাইল, অ্যালানটোইন, ওটমিল, নারকেল তেল, ভিটামিন ই, ক্যালেন্ডুলা, শিয়া বাটার, বাদাম তেল সুগন্ধিমুক্ত, খনিজ তেল এবং প্যারাবেনস ব্যবহার করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.