অস্ট্রেলিয়ায় দেখা মিলল চকলেট ব্যাঙের
ODD বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক বিশেষ এক প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন। নিউ গিনির রেইন ফরেস্টে দেখা মেলে এই প্রজাতির ব্যাঙ। গাঢ় চকলেট রঙের কারণে এ প্রজাতিকে ‘চকলেট ব্যাঙ’ নামে ডাকা হচ্ছে। অ্যানিউরা বর্গের মেরুদণ্ডী এই উভচর প্রাণীর অনেক প্রজাতি রয়েছে। এর কিছু বাস করে আর্দ্র স্থানে, আর কিছু বাস করে জলে। আমাদের দেশে বর্ষার মৌসুমে জলাশয়ের আশেপাশে ব্যাঙের দেখা বেশি মেলে। তবে চকলেট ব্যাঙের দেখা মিলিছে শুধু নিউগিনির নিম্নাঞ্চলেই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেছো ব্যাঙগুলো সাধারণত সবুজ রঙের হয়। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া এ প্রজাতির ব্যাঙের ত্বকের রং গাঢ় খয়েরি। একদম চকলেটের মতো। বিশেষ এ রঙের কারণে গবেষকেরা এর নাম দিয়েছেন চকলেট ব্যাঙ। নতুন সন্ধান পাওয়া ব্যাঙের এই প্রজাতি নিয়ে ২০ মে অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব জুওলজি একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেন্টার ফর দ্য প্ল্যানেটরি হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি এবং কুইন্সল্যান্ড জাদুঘরের গবেষকেরা চকলেট ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন। এ বিষয়ে গবেষক পল অলিভার এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত লিটোরিয়া ক্যারুলেয়া প্রজাতির গেছো ব্যাঙ পাওয়া যায়। এদের গায়ের রং সবুজ। নতুন সন্ধান পাওয়া প্রজাতিটি লিটোরিয়া ক্যারুলেয়া প্রজাতির সমগোত্রীয়। তবে রং একেবারেই আলাদা। এর নাম দেয়া হয়েছে লিটোরিয়া মিরা। লাতিন ভাষায় যার অর্থ ‘অবাক করার মতো’। কেননা, এ আবিষ্কার গবেষকদের সত্যিই অবাক করেছে।
একসময় অস্ট্রেলিয়া ও নিউগিনির ভূখণ্ড সংযুক্ত ছিল। প্রায় কোটি বছরের ব্যবধানে তা প্রাকৃতিকভাবে আলাদা হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ও পূর্বাঞ্চল এবং নিউগিনিতে প্রচুর চিরহরিৎ বন রয়েছে। এসব বনে সবুজ রঙের গেছো ব্যাঙ পাওয়া যায়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা ২০১৬ সালেই একটি চকলেট ব্যাঙ দেখেছিলেন। তাদের ধারণা, পরবর্তী সময়ে এটি পুরো নিউগিনিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের গবেষক স্টিভ রিচার্ডস বলেন, চকলেট ব্যাঙ দেখতে চমৎকার। উষ্ণ আবহাওয়ায় এদের বসবাস। তবে এসব অঞ্চলের জলাভূমিতে প্রচুর কুমিরের বাস। তাই নতুন এই প্রজাতির সন্ধান নিয়ে গবেষণায় বিলম্ব হয়েছে।
Post a Comment