‘মৃত্যুগাছ’ যার সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায় ত্বক, ফল খেলে নিশ্চিত মৃত

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গাছ আমাদের জীবন বাঁচায়, এই কথা কারোই অজানা নয়। গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই। যা আমাদের নিঃশ্বাস নিতে সহায়তা করে। আবার গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। পৃথিবীতে লাখো প্রজাতির গাছ রয়েছে। সেসব গাছ থেকে আমরা খাদ্য, ওষুধ, আসবাবপত্র, জ্বালানি ইত্যাদি অনেক কিছুই পেয়ে থাকি। এছাড়া গাছ বিশেষভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করে প্রাণিজগৎকে বাঁচিয়ে রাখে।

তবে জানলে অবাক হবেন যে, বিশ্বে এমন গাছও আছে যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখার পরিবর্তে প্রাণও কেড়ে নিতে পারে! তেমনই একটি গাছ হলো ‘ম্যানশিনীল’। যাকে ‘মৃত্যুগাছ’ বলেও ডাকা হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ হিসেবেও পরিচিত ম্যানশিনীল।


ক্যারিবীয় সাগরের তটে মূলত এই গাছ দেখা যায়। উচ্চতা ৫০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই গাছ এতটাই বিষাক্ত যে এর সংস্পর্শে এলে দেহের ত্বক পুড়ে যেতে পারে। দাবি করা হয়, এই গাছের ফল খেলে দেহের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।


এই গাছে দুধের মতো ঘন রস থাকে। পাতা, গাছের ছাল এবং ফলেও সেই রস পাওয়া যায়। সেই রস কোনোভাবে শরীরের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যাওয়ার মতো ক্ষত সৃষ্টি হয়। গাছের সংস্পর্শে যাতে কেউ না যান, তাই ওয়ার্নিং বোর্ড পর্যন্ত লাগানো থাকে।


সায়েন্স এলার্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই রসে ফরবল নামে বিষ থাকে। যা সহজে জলে মিশে যায়। তাই বৃষ্টির সময় এই গাছের নিচে আশ্রয় নিতে নিষেধ করা হয়। কারণ বৃষ্টির সঙ্গে এই রস মিশে শরীরের সংস্পর্শে এলে বা কোনো কারণে চোখে গেলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিও হতে পারে। 


গিনেস বুকেও বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে ম্যানশিনীলের নাম। তবে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে এই গাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমুদ্রের জল থেকে মাটিক্ষয় রোধ করে এই গাছ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.