পেরুর মাটির নীচে সন্ধান মিললো ২২৭ শিশুর দেহাবশেষ



 ODD বাংলা ডেস্ক: পেরুতে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল প্রাচীন চিমু সভ্যতায় বলিপ্রদত্ত বলি দেয়া ২২৭টি শিশুর লাশ। পেরুতে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মাটি খুঁড়ে দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। দেহাবশেষগুলো পেরুতে বসবাসরত প্রাচীন চিমু সভ্যতায় বলিপ্রদত্ত বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ১২০০ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে চিমু সভ্যতায় শিশুদের বলি দেওয়ার মর্মান্তিক প্রথা চালু ছিল। 


সেই বলিদানের শিশুদের দেহাবশেষই এগুলো বলে ধারণা করছেন বিশষেজ্ঞরা। তা না হলে মাটির নীচে এতোগুলো শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া সম্ভব হতো না। তাও আবার একই জায়গা। আজ পর্যন্ত এত সংখ্যক শিশুর বলিপ্রদত্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে‌নি। ২০১৮ সালের শেষ থেকে রাজধানী লিমার উত্তরে অবস্থিত হুয়ানচাকোতে খননকার্য চালাচ্ছে‌ন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। হুয়ানচাকোতে শিশু বলি দেওয়ার প্রথা ছিল প্রাচীনকালে।


সংবাদ সংস্থা এএফপিকে মুখ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ ফেরেন ক্যাস্টিল্লোর জানান, ‘একসঙ্গে এতগুলো বলিপ্রদত্ত শিশুর দেহের সন্ধান এর আগে পাওয়া যায়নি। এটাই সবথেকে বড় ঘটন‌া।' তিনি আরো জানান, চিমু সভ্যতায় ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশু ও বালক-বালিকাদের বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। ঈশ্বরকে তুষ্ট করতেই এই বলি দেওয়া হতো বলে জা‌নান তিনি।


এল নিনোকে প্রশমিত করতেই এই শিশুদের বলি দেয়া হতো।এখনো আরো দেহ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবন‌া রয়েছে। যেখানেই খোঁড়া হচ্ছে সেখানেই শিশুর লাশ পাওয়া যাচ্ছে।


জানা গেছে, হুয়ানচাকোতে শিশু বলি দেয়ার প্রথা ছিল প্রাচীনকালে। বলিপ্রদত্ত শিশুদের দেহ এমন ভাবে রাখা, যাতে তাদের মুখ থাকে সমুদ্রের দিকে। সম্ভবত এটা ঐ নিষ্ঠুর প্রথারই কোনো নিয়ম। কোনো কোনো শরীরে এখনও চামড়া ও চুলের অস্তিত্ব রয়েছে।


২০১৮ সালের জুনে প্রথমবার এই খনন অঞ্চলের কাছে পাম্পা লা ক্রুজে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৫৬টি কঙ্কাল পান। তার আগে ঐ বছরেরই এপ্রিল মাসে হুয়াচাকুইতোতে ১৪০টি শিশু ও ২০০টি লামার দেহ উদ্ধার হয়। পেরুর উপকূল থেকে ইকুয়েডর পর্যন্ত বিস্তৃত চিমু সভ্যতা ১৪৭৫ সালে অবলুপ্ত হয়। ইনকা সভ্যতা এই সভ্যতাকে জয় করে নেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.