বোতলেই মৃত্যু! সচেতন হোন, সাবধান হোন..

ODD বাংলা ডেস্ক: জলই মানুষের জীবন রক্ষা করে আবার জলই মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়- জলের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এতটাই নিবিড়।

আগে মাটির কলসিতে রাখা জল খেতাম আমরা। সমাজের অভিজাত অংশে ছিল পিতল ও কাসার ব্যবহার।  এরপর টিন, স্টিলের জলের পাত্রের চল শুরু হয়। এসব বেশি দিন আগের কথা নয়। তবে বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের বোতলজাত জলের ব্যবহার বেড়েছে বহু গুণে। আমরা বোলতভর্তি জল কিনি। তবে জল খেয়ে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে বোতল ফেলে দেয় না। এগুলো বারবার করে অনুপযোগী হওয়ার পর ফেলে দেওয়া হয়।

কিন্তু নতুন সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বারবার ব্যবহার করার ফলে নানা ধরনের জীবাণু জমে প্লাস্টিকের বোতলে। এগুলো এতোটা খারাপ যে, কুকুরে মুখ দেওয়া জলও এর চেয়ে ভালো। কেননা ওই জলে যে জীবানু জমে, তা খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পরে, এমন কি, মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

ওয়েবসাইট ট্রেডমিল রিভিউ এমল্যাব প্লাস্টিকের বোতলজাত জল বিক্রির কোম্পানি পিঅ্যান্ডকের চার ধরনের ১২টি বোতল পরীক্ষা করে। এগুলো হলো স্ক্রু-টপ, স্লইড-টপ, স্কুইজ-টপ ও স্ট্র-টপ। বোতলগুলো সপ্তাহ ধরে না ধুয়েই ব্যবহার করেন এক অ্যাথলেট।

ট্রেডওয়েল রিভিউ বলছে, ‘ওই ১২টি বোতল পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে আমরা দেখি যে, সেগুলোতে জমেছে ভয়ংকর জীবাণু। এবং প্রতি বর্গসেন্টিমিটার এলকায় জন্ম নিয়ে থাকে তিন লাখেরও বেশি জীবাণু।

সবচেয়ে বেশি জীবাণু জন্ম নিয়ে থাকে স্লাইড টপ বোতলে। বোতলের প্রতি বর্গসেন্টিমিটার এলায় জন্ম নিয়ে থাকে কমপক্ষে ৯ লাখ জীবাণু। বোতলে যেসব জীবাণু জন্ম নিয়ে থাকে তার মধ্যে একটি ডকি। এর ফলে যেকেউ চর্মরোগ, নিওমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও ব্লাড পয়জনিং দেখা দিতে পারে যে কারো।

এ ছাড়া পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে যেকেউ। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে, হাতে গোনা কয়েকটি রোগ বাদে সব রোগই মূলত জলবাহিত।

এরপরে রয়েছে স্কুইজ-টপ বোতল। প্রতি বর্গ সেন্টিমিটার এলাকায় জন্ম নিয়ে থাকে ১ লাখ ৬২ হাজার জীবাণু। স্কুইজ-টপ বোতলকে অনুসরণ করছে স্ক্রু-টপ বোতল। এই সব বোতলে ঠিক এতো জীবাণু জমে না। তবে স্ক্রু-টপে জন্মে ১ লাখ ৬০ হাজারের কিছু কম জীবাণু।

এসব বোতলে জল খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। মানুষের পোষা কুকুর মুখ দিয়েছে, এমন কোনো খাবারের চেয়েও।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে দেখা যায়, সব ধরনের বোতলের চেয়ে অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট স্ট্র-টপ বোতল। এসব বোতলে পাওয়া যায় প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে ২৫টি জীবাণু। এ ছাড়া স্ট্র-টপ বোতলে পাওয়া জীবাণুগুলোর বেশিরভাগই ক্ষতিকর নয়।

ওয়েবসাইটে বলা হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে আমরা স্ট্র-টপ বোতল ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি- প্রথমত, জীবাণু কম থাকা ও দ্বিতীয়ত, ক্ষতিকর জীবাণু কম থাকর কারণে। ওয়েবসাইটে প্লাস্টিকের বদলে স্টেইনলেস স্টিলের গ্লাস ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে প্রতিবার ব্যবহারের পর বোতল পরিষ্কার করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ওয়েবাইটে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.