মশার যন্ত্রণা! এই গাছগুলো ঘরে থাকলে মশা পালাতে বাধ্য!

ODD বাংলা ডেস্ক: অনেকেই শাক-সবজি, ফুল-ফলসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশী গাছের বাগান গড়ে তুলছেন বাসার ছাদে। তবে এরসঙ্গে আরো কিছু গাছ যোগ করলে মশাসহ নানা ধরনের কীট-পতঙ্গের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।

সাইট্রোনেলা: পশ্চিমের দেশগুলোতে এটি মশা-গাছ নামেও পরিচিত। মশা দমনে এই উদ্ভিদটি আপনার বাগানের এক কোণায় লাগিয়ে ফেলতে পারেন। গাছটির ডালপালার মধ্যে সাইট্রোনেলার সুগন্ধ বহন করে, যা মশাকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

পুদিনা পাতা: অনেকেই জানেন, পুদিনা পাতার গন্ধ মাথাব্যাথা সারাতে খুবই উপকারী। কিন্তু অনেকেরই অজানা, পুদিনা পাতায় খুঁজে পাওয়া তেল মশার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ মাত্রা প্রদান করে।

পেপারমিন্ট ট্রি: পেপারমিন্ট বা মেন্থলের তাজা সুগন্ধ মশা তাড়ানোর দারুণ ভেষজ। এটি মশার প্রাকৃতিক কীটনাশক। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে মেন্থল লাগিয়ে নিলে তা মশার কামড় থেকে বাঁচায়। মেন্থল তেল ও জলের মিশ্রণ মশাপ্রবণ জায়গায় ছিটিয়ে দিলে উপকার পাবেন।

ল্যাভেন্ডার: ঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে বা ঘুমোনোর আদর্শ পরিবেশ আনতে ল্যাভেন্ডার কাজ দেয়। ল্যাভেন্ডারেরও নিজস্ব একটা সুগন্ধ আছে। মানুষের পছন্দ হলেও পোকামাকড় বা ইঁদুর এই গাছের গন্ধ পছন্দ করে না। ঘরের যে কোনো জায়গায় একগোছা ল্যাভেন্ডার রেখে দিলেই মশা-মাছি আসবে না।

বাসিল পাতা: পিজ্জার সঙ্গে এই পাতার ব্যবহার হারহামেশাই দেখা যায়। তবে এটি মূলত একটি ভেষজ গাছ। ঘরের আঙিনা, বাগানে বা ছাদে অন্যান্য গাছপালার সঙ্গে এটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। এর তীব্র ভেজা গন্ধ পোকা-মাকড়কে ঘরবাড়ি থেকে দূরে রাখে।

তুলসী গাছ: তুলসী মশা তাড়ানোর উপকারী উদ্ভিদ। তবে অনেকেই জানেন না যে, মশার কামড়ের স্থানে আস্তে আস্তে তুলসী পাতা ঘষলে চুলকানি থেকে মুক্তি মেলে। তুলসী পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি যৌগ ইউজেনল থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.