এই সময় সাবধান! যে ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মশা বেশি কামড়ায়

ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের অতি পরিচিত একটি কীট হল মশা। মশা থেকেই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো অসুখ ছড়ায়। প্রতি বছরেই অসংখ্য মানুষ মশার কামড়ে এসব রোগে আক্রান্ত হয়। আমরা সব সময় মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করি। এর জন্য আগাম সতর্কতা নেয়া হয়। অনেক সময় কয়েল জালিয়ে বা স্প্রে করে আমরা মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করি।

কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু মানুষকে মশা মনে হয় মশা একটু বেশিই কামড়ায়। এমনটা কেন হয়, কখনো ভেবে দেখেছেন কি? এটা কি শুধুই মনের ভুল, নাকি সত্যি সত্যিই কিছু মানুষকে মশা অন্যদের তুলনায় বেশি কামড়ায়? জেনে নেয়া যাক কাদের বেশি কামড়ায় মশা এবং কেন?

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসি ডেভিস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, মশার একধরণের পছন্দের রাসায়নিক আছে। কিছু কিছু মানুষের শরীরে মশার প্রিয় রাসায়নিক বেশি পরিমানে থাকে। আর প্রিয় রাসায়নিকের গন্ধে মশারা ওই সব মানুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, যাদের  রক্ত মিষ্টি তাদের মশা বেশি কামড়ায়। এটা মজা করে বলা হলেও আসল বিষয়টাও খুব একটা ভুল না। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা।

তারা জানান, মানুষের শরীরের গন্ধ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাধ্যমে মশা আকৃষ্ট হয়। একেক জনের শরীরের গন্ধ একেক রকমের হয়। কোনো কোনো মানুষের শরীরের গন্ধ মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে।

আমাদের ত্বক থেকে এক ধরনের ল্যাকটিক অ্যাসিডের গন্ধ নিঃসৃত হয়। আর এই ল্যাকটিক অ্যাসিডের গন্ধ মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে। যাদের শরীর থেকে অন্যদের তুলনায় বেশি ল্যাকটিক অ্যাসিড নির্গত হয়, মূলত তাদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয়, তাদেরকেই মশা বেশি কামড়ায়।

দীর্ঘ পরীক্ষার পর গবেষকরা জানিয়েছেন, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদেরকেই মশা বেশি কামড়ায়। তবে এছাড়াও যাদের শরীর অতিরিক্ত মেদযুক্ত,  যাদের নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা গর্ভবতী নারী  তাদের মশা অন্যদের তুলনায় বেশি কামড়ায়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.