৪৬ কোটি টাকায় বিক্রি হল আমিরাতের ভাসমান বাড়িটি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মানুষের শখের শেষ নেই। নেই ধরা বাধা নিয়মের ছক। তাইতো রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষের জন্য মাথা ঘাঁটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরাও। এরইমধ্যে অনেকেই জলের নিচের হোটেল, রেস্তোরাঁর খবর জানেন। ধনীদের খেয়াল মেটানোর জন্যই এমনসব চমক নিয়ে হাজির হন তারা। এবার সাগরের নীল জলরাশির মাঝে এক টুকরো ভাসমান বাড়ি ধনীদের খেয়াল মেটানোর জন্য তৈরি করেছে এক জাহাজ নির্মাতা। 

আরব আমিরাত ভিত্তিক জাহাজ নির্মাতা সীগেট শিপইয়ার্ড ভাসমান ক্ষুদে রিসোর্ট ইউনিটই লঞ্চ করেছে। এটি বিশ্বের প্রথম ভাসমান ও পরিবেশ বান্ধব বাড়ি বলেও দাবি কোম্পানিটির। অবকাশ যাপনের জন্য তৈরি দ্বিতল এই ভাসমান বাড়িতে শয়নকক্ষ চারটি, প্রতিটিতেই আছে অ্যাটাচড বাথ ও বারান্দা। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে আছে কাঁচে ঘেরা সুইমিং পুল, কিচেন ও লিভিং রুম। 


প্রমোদ সফরে আসা অতিথিদের পরিচর্যাকারীও তো চাই, এমন পরিচারকদের থাকার জন্যও আছে আলাদা দুটি কক্ষ। স্বচ্ছ কাঁচের মেঝে যুক্ত এই বাড়ির মোট আয়তন ৯০০ বর্গমিটার।  বিশেষ হাইড্রোলিক ইঞ্জিনের সাহায্যে ভাসমান এই স্থাপনাকে সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। সীগেটের দাবি, তারা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান নিশ্চিত করেই এটি তৈরি করেছে। 


বাড়িটির সবকিছু সুক্ষ্মভাবে পরিচালনা করে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত কম্পিউটার প্রোগ্রাম। ভেতরে ও বাইরে জীবাণু মুক্তকরণের জন্যেও এমন আরেকটি ব্যবস্থা আছে। ভাসমান বাড়ি সৌরশক্তি চালিত, রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্য মিশ্রিত জল পরিশোধনের ব্যবস্থা। 


এর মূল প্রকল্পে থাকবে ১৫৬টি বিলাসবহুল স্যুইট ও সাধারণ কামরার একটি দৃষ্টিনন্দন হোটেল। তার চারপাশে থাকবে ১২টি ভাসমান আবাসন স্থাপনা। প্রথম বাড়িটি রাস আল খায়মাহ অঞ্চলের আল হামরা বন্দর থেকে সাগরে লঞ্চ করেছে সীগেট। একে নিয়ে যাওয়া হবে দুবাইয়ের অভিজাত এলাকা জুমেরিয়াহ'র উপকূলে, সেখানেই এটি স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।  


সীগেট শিপইয়ার্ডের মূখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ এলবাহরাওয়ি জানান, আঞ্চলিকভাবে পর্যটন ও বিনিয়োগের একটি বড় কেন্দ্র হওয়ার কারণেই দুবাইকে লক্ষ্য করে তারা এই প্রকল্প হাতে নেন। দুবাইয়ের আকর্ষনীয় অর্থনৈতিক নীতিমালার সুবিধা এবং উন্নত অবকাঠামোও তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। তিনি আরো বলেন, ৮৭ কোটি দিরহাম মূল্যের প্রকল্পটির বাকি ইউনিট নিকট ভবিষ্যতে লঞ্চ করা হবে এবং ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।


সম্প্রতি লঞ্চ করা প্রথম ইউনিটটি কিনেছেন দুবাই-ভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বালভিন্দার সাহানি। স্থানীয়ভাবে, আবু সাবাহ নামেও পরিচিত এই ধনকুবের এজন্য ২ কোটি দিরহাম বা ৪৬ কোটি টাকা দাম দিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.