সেক্স ডল এই গ্রামের দেবী হল যেভাবে!

ODD বাংলা ডেস্ক: দেবীমূর্তিকে নিয়ে যৌন ভাবনা ভাবা বেশ মুশকিলের কাজ! আবার কোন যৌনমূর্তি অর্থাৎ সেক্স ডলই বা কবে পেয়েছে দেবীর সম্মান? সে বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন!

কিন্তু, ইন্দোনেশিয়ার বাঙ্গাই দ্বীপের কালুপাপি গ্রামের সমস্যা একটু অন্য। প্রত্যন্ত এই গ্রামের মানুষ সভ্যতার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। ফলে, সেক্স ডল জিনিসটা কী, সেটাও তাঁদের বোধের অগম্য।

সেই জন্যই সাম্প্রতিক সূর্যগ্রহণের ঠিক পরের দিন যখন সমুদ্রের ধারে পুতুলটা পড়ে থাকতে দেখেন পার্ডিন নামের এক জেলে, তিনি চমকে ওঠেন! পোশাক ছাড়া পুতুলটাকে দেখে তাঁর মনে কোন যৌনবাসনা না জেগে বরং তাকে স্বর্গের দেবী ভেবে বসেন!

যেমন ভাবা, তেমন কাজ! ভক্তিভরে পুতুলটা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন পার্ডিন। মাকেও জানান দেবীর সাক্ষাতের কথা।

অতঃপর, পার্ডিনের মা পুতুলটাকে সুন্দর করে পোশাক পরিয়ে, সাজিয়ে-গুছিয়ে বসিয়ে রাখলেন এক চেয়ারে। যেমন করে পুজো করা হয়, তেমন করেই আদর-আত্তি করতে লাগলেন তাঁদের দেবীকে।

এ অবস্থায়, মর্ত্যের মানুষের ঘরে ধরা দিয়েছেন স্বর্গের দেবী- এমন খবর কি আর চাপা থাকে? দেখতে দেখতে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল খবরটা। দেবীদর্শনের আশায় ভিড় বাড়তে থাকল পার্ডিনের বাড়িতে।

অবশেষে খবরটা পৌঁছল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কানেও। গোয়েন্দা নিয়ে তদন্ত করতে এসেই তাঁরা টের পেলেন কী কাণ্ড চলছে! তার পর?

বাকিটা পার্ডিনের পক্ষে ভাল খবর নয়। ওই সেক্স ডলটাকে বাজেয়াপ্ত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যাতে আর গুজব রটতে না পারে!

তবে, দেবীহারা হওয়ার পর এবং দেবীর স্বরূপ জানার পর পার্ডিনের প্রতিক্রিয়া কী, তা জানা যায়নি!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.