হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি না ক্ষতিকর?


ODD বাংলা ডেস্ক: হলুদের গুণাগুণ নিয়ে বহু মানুষই কথা বলেন। বাস্তবে হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি উপকারি কিংবা ক্ষতিকর তা নিয়ে সম্প্রতি গবেষকরা বিশ্লেষণ করেছেন।

হলুদ মূলত একটি মসলা। দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিতে হলুদের ভূমিকা রয়েছে। এটি বিভিন্ন খাবারে যেমন ব্যবহৃত হয় তেমন প্রসাধনী হিসেবে গায়েও মাখা হয়। তবে এটি আরও বহু কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন হলুদের নানা গুণ রয়েছে, এ বিষয়টিতে কোনো ভুল নেই। হলুদের রয়েছে কারকিউমিন নামে উপাদান। এটি অত্যন্ত কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান। এছাড়া হলুদের বিভিন্ন উপাদানের কারণে তা খাবারে সুন্দর রং ও স্বাদ আনে।

হলুদের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। হলুদের বিভিন্ন উপাদান আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি যেমন তাজা অবস্থায় খাওয়া যায় তেমন শুকিয়ে পাউডার হিসেবেও খাওয়া যায়। হলুদের গুড়া ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত অন্যতম মসলা।

ঠাণ্ডা কিংবা সর্দির চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহৃত হয়। সর্দি বসে গেলে হলুদ হতে পারে সেরা উপশম। এ ছাড়়া কাশি এবং মাথাব্যথায় অব্যর্থ ওষুধ এটি।

স্মৃতিশক্তি, মনঃসংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে হলুদের উপকারিতা অপরিসীম। ক্যানসারের চিকিৎসায় হলুদ কাজে আসে, এমন কথাও আর অজানা নেই। হলুদের কয়েকটি উপাদান ক্যান্সার দূর করতে খুবই কার্যকর। হৃৎপিণ্ড সচল এবং সক্রিয় থাকে হলুদের গুণে। মস্তিষ্কের জন্যও হলুদ উপকারী। হলুদে মন থাকে হালকা। বাড়ে কর্মক্ষমতা।

হজমের সমস্যা দূর করতে পারে হলুদ। পেটের সমস্যা ও পেট পরিষ্কার নিয়ে বহু মানুষই হিমশিম খান। হলুদে উপকার হতে পারে এ সমস্যাতেও।

ত্বকের পরিচর্যায় হলুদের উপকারিতার কথা কে না জানেন। এ দেশে বিয়ের অনুষ্ঠানেও গায়ে হলুদের একটি অংশ থাকে।

তবে হলুদ শুধু যে উপকার হয় তা নয়। হলুদের ক্ষতিকর বিষয়ও রয়েছে। হলুদ খাওয়া কিংবা তরকারিতে ব্যবহার নির্দিষ্ট মাত্রার মাঝে রাখা প্রয়োজন। বেশি হলুদ পেটের পীড়া, অ্যালার্জি, রক্তক্ষরণ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও কিডনিতে পাথরের সমস্যা হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.