মৃতদেহ ভোগ করাই ছিলো যার নেশা!

ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের অপরাধ জগতে কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকায় অসংখ্য নাম রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু নাম আজও গোটা বিশ্বকে শিহরিত করে, আতঙ্কিত করে। তাঁদের মধ্যে জেরি ব্রাডোসের নাম অন্যতম।

জেরির জন্ম আমেরিকার ডাকোটায়। ছোট থেকেই মেয়েদের হাই হিল জুতো আর লেস বসানো অন্তর্বাসের প্রতি ছিল দারুন আকর্ষণ। পাঁচ বছর বয়সে নিজের ক্লাস টিচারের জুতো চুরি করেন জেরি।

সেই থেকে শুরু। এর পর মেয়েদের জুতো আর অন্তর্বাস চুরি করা তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়াল। প্রতিবেশীদের ভিজে জামাকাপড় রোদে মেলা থাকলে বেছে বেছে লেস বসানো অন্তর্বাস চুরি করতেন জেরি। তাঁর যখন সতেরো বছর বয়স তখন এক তরুণীকে মারধর করেন জেরি। প্রাণনাশের হুমকি দেন ওই তরুণীকে নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষা মেটানোর দাবিতে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় জেরিকে।

৯ মাস ধরে চলে তাঁর মানসিক চিকিৎসা। এই সময় চিকিত্সকরা জানতে পারেন, নিজের মা এবং সমগ্র নারীজাতিকে ঘেন্না করেন জেরি। সবার উপর প্রতিশোধ নিতে চান। কেন এমন মনোভাব তৈরি হল তাঁর! মনোবিজ্ঞানীরা জেরির কেস হিস্ট্রি ঘেঁটে জানান, কন্যাসন্তানের মা হওয়ার ইচ্ছে ছিল জেরি ব্রাডোসের মায়ের।

কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানও ছেলে হওয়ার পর সব রাগ গিয়ে পড়ল ওই শিশুটির উপর। মায়ের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার আর চরম অবহেলায় বড় হতে লাগলেন জেরি। আর এর থেকেই মেয়েদের প্রতি তীব্র ঘৃণার জন্ম হয় জেরির মনে।

মানসিক রোগী হলেও জুয়েশন শেষ করে একটি সংস্থায় ইলেকট্রিশিয়ানের চাকরি পান তিনি। নিজের ২২ বছর বয়সে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করে সংসার পাতেন তিনি। নিজের স্ত্রীকে জেরি নির্দেশ দেন, সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে বাড়ির সব কাজকর্ম করতে। স্বামীর এই হুকুমকে প্রথমে ঠাট্টা হিসেবেই ধরেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ভুল ভাঙে তাঁর। স্বামীর হুকুম মাফিক সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়েই কাজ করতে বাধ্য হতেন জেরির স্ত্রী আর ওই অবস্থায় স্ত্রীর ছবি তুলে রাখতেন জেরি।

দুই সন্তানের বাবা জেরির বাড়িতে একটা গ্যারাজ ছিল যেখানে কারও ঢোকার অনুমতি ছিল না। সেখানে এই বিকৃতকামী লুকিয়ে রাখতেন তাঁর হাতে নিহত মেয়েদের নিথর দেহ।

পরে তদন্তে জেরি স্বীকার করেন, ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯, এক বছরে তিনি ৪ জন তরুণীকে খুন করেন। তাঁর প্রথম শিকার ছিলেন ১৯ বছরের লিন্ডা। নিজের প্রথম খুনের স্মৃতি হিসেবে জেরি সংরক্ষণ করেছিলেন লিন্ডার স্তনযুগল যা তিনি ব্যবহার করতেন পেপারওয়েট হিসেবে! 

এ ছাড়াও তাঁর সংগ্রহে ছিল লিন্ডার বাঁ পা। সেটা ছিল জেরির ‘মডেল’। জুতো চুরির পরে ওই পায়ে পরিয়ে দেখতেন তিনি কেমন লাগছে! চুরি করা জুতোর রীতিমতো ক্যাটালগ ছিল জেরির কাছে। খুনের পরে ওই জুতো পরেই স্বমেহন করতেন তিনি। তারপর সম্ভোগে লিপ্ত হতেন মৃতদেহর সঙ্গে।

গ্রেফতারের পরে বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় জেরির। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৬ সালে জেলে-ই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর দশ বছর পরেও এখনও তাঁর নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন বিশ্বের তাবড় মনোবিজ্ঞানীরা, আঁতকে ওঠেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.