ব্রাজিলের কোকাকোলা উপহ্রদ: রাসায়নিক বিক্রিয়া নাকি প্রকৃতির খেয়াল

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিরিয়ানি হোক কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় সিঙ্গারা। তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে কোমল পানীয় থাকা চাই-ই-চাই। হাতে গুণে কয়েকটি কোমল পানীয়ের নাম বলতে হলে শুরুতেই আসবে কোকাকোলা। ২০০ বছর ধরে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।

পছন্দের খাদ্যতালিকার শীর্ষে কোকাকোলার অবস্থান থাকলেও, কখনো ভেবে দেখেছেন কি যে আপনি আস্ত একটা কোকাকোলার হ্রদের মধ্যে সাঁতার কাটছেন? শুনে অসম্ভব মনে হলেও, ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে দেল নর্তে তে অবস্থিত 'কোকা কোলা উপহ্রদ' এর  জলের রঙ ঠিক কোকাকোলার মতোই!


লাগোয়া দা আরারাকুয়ারা নামক এই উপহ্রদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই আপনি এর 'কোকাকোলা উপহ্রদ' নামকরণের সার্থকতা বুঝতে পাবেন।  জলের রং ঠিক কোকাকোলার মতো হলেও, এখানকার জলে থাকা উপকরণগুলো ভিন্ন এবং জলে নেই কোনো কার্বোনেশন। ক্যারামেল নয়, বরং আয়রন ও আয়োডিনের সংমিশ্রণ এবং তীরে জন্মানো নলখাগড়ার পিগমেন্টেশন একসঙ্গে মিশে গিয়ে এর জলকে কোকাকোলার রং দিয়েছে।


তাই কখনো ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে দো নর্তে'র বাইয়া ফরমোসা অঞ্চলে যান, তাহলে এই বিখ্যাত কোকাকোলা উপহ্রদে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না যেন! কারণ কোকাকোলার হ্রদে স্নান করার সুযোগ কিন্তু বারবার আসবে না। রিও গ্রান্দে দো নর্তে'র দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত কোকাকোলা উপহ্রদ ব্রাজিলের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। শিশুরা এই উপহ্রদের নাম শুনে উল্লাসিত হলেও, জলের রং দেখে বয়স্ক মানুষেরা কখনো কখনো জলে নামতে চান না। 


গ্রীষ্ম মৌসুমে কোকাকোলা উপহ্রদের অগভীর জল বেশ গরম থাকে, ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্নান করা বা বন্য শূকরের উপর চড়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এটি একটি চমৎকার জায়গা। আবার অনেকের ধারণা, যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে  জলের রং কোকাকোলার মত হয়ে গেছে; তা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.