ফুলশয্যার রাতে পুলিশ বরের শর্ত শুনে সম্পর্ক পৌঁছে গেল ডিভোর্স অবধি

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  বিয়ের পর প্রথম রাত অর্থাৎ ফুলশয্যার রাতেই বরের আজব শর্ত শুনে নতুন বউ পৌঁছে গিয়েছে পুলিশের কাছে। বিয়ের পর হানিমুনে যাওয়ার বদলে সেই নারী এখন বাধ্য হয়ে কোর্ট এবং থানার চক্কর কাটতে ব্যস্ত। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলায় পোটকা থানা এলাকায়। সেখানকার এক ব্যাঙ্ক আধিকারিক পাত্র নিজের ফুলশয্যায় নতুন বউয়ের কাছে এমন এক শর্ত পেশ করেছে যে সেটি পৌঁছে গিয়েছে ডিভোর্স পর্যন্ত।  

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ জুন, সেখানকার গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সেই ব্যাংক আধিকারিক পাত্রের। সেই ছেলেটি এমবিএ সম্পূর্ণ করে একটি ব্যাংক অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করছে। নববধূ জানিয়েছে যে, বিয়ের পর ফুলশয্যার রাতেই তার বর তার কাছে একটি আজব শর্ত পেশ করে, তাকে দুই বছরের মধ্যে আইএএস হতে হবে। যদি সে তা না করতে পারে তাহলে তাদের মধ্যে স্বামী ও স্ত্রীয়ের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। নববধূ প্রথমে ভেবেছিল তার স্বামী তার সঙ্গে মজা করছে। পরের দিন সকালে তার স্বামী ইন্টারভিউ দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি।


সেই নববধূ জানিয়েছে যে, তার স্বামী এক বারের জন্যও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। স্বামীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি রাজি হননি। এই সময় তার স্বামীর বাড়ির লোকেরা তাকে বিভিন্ন ভাবে কটূ কথা বলে অপমান করতে থাকে। এর মধ্যেও সেই নারী নিজের বাবা-মায়ের সম্মানের কথা ভেবে চুপ করেছিল। তবে এর মধ্যেই তার স্বামী কোর্টে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন। এই খবর শুনে ঐ নববধূ হতবাক হয়ে যায়। ডিভোর্সের নোটিস পেয়ে নববধূ কষ্ট পেলেও, সে এখন পড়াশোনা করছে। ঐ নববধূ নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় এবং নিজের স্বামীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে চায়।


পীড়িত সেই মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন যে, সেই যুবক পড়াশোনায় খুব ভালো এবং ব্যাংকে কর্মরত, এই জন্যই তিনি তার একমাত্র মেয়ের বিয়ে তার সঙ্গে দেন। তবে শেষ পর্যন্ত এমন উপযুক্ত পাত্র সম্পর্কে ধারণা বদলেছে তার, তিনি সাফ বলে দিয়েছেন ঐ যুবক তার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.