চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি কিশোয়ার, জিতেছেন কোটি হৃদয়
ODD বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের গ্রামবাংলার মানুষের আবহমানকালের খাবার পান্তাভাত আর আলুভর্তা মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় পরিবেশন করে অনেকের মন জয় করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় কিশোয়ার চৌধুরী। তবে তিনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফিজিয়ান যাজক জাস্টিন নারায়ণ।
‘বাঙালি’ রাঁধুনী কিশোয়ার না জেতায় অনেক বাংলাদেশিই আশাহত হয়েছেন। হবেন নাই বা কেন; লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক, খাসির রেজালা— আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় তিনি তুলে ধরেছেন আমাদের ঘরের খাবারকে।
দুই দিন ধরে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় জাস্টিন, পিট ও কিশোয়ার এই তিন ফাইনালিস্টকে নিয়ে।
প্রথম দিন ফাইনাল ডিশে কিশোয়ার রান্না করেন 'স্মোকড ওয়াটার রাইস, আলু ভর্তা ও সার্ডিন'। অর্থাৎ বাঙালির কাছে চিরচেনা পান্তা-ভাত, আলু ভর্তা আর সার্ডিন মাছ ভাজি। ফাইনাল ডিশ হিসেবে এটা রেঁধে নিজের তৃপ্তির কথাও জানান কিশোয়ার।
ফাইনাল ডিশ রান্না নিয়ে কিশোয়ার বিচারকদের বলেন যে, প্রতিযোগিতায় এমন রান্না সত্যিই চ্যালেঞ্জের। সাধারণ রেস্টুরেন্টে এমন রান্না হয় না। কিন্তু বাঙালির কাছে এটা পরিচিত রান্না।
কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায় হলেও তার পারিবারিক আবহটা সবসময়ই ছিল বাঙালিয়ানা। তার বাবার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে আর মা কলকাতার বর্ধমানের। তারা দুজনে আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান।
তবে বিদেশে বসবাস করলেও নিজের দেশের ভাষা, সংস্কৃতি চর্চা সবকিছুই বজায় রেখেছেন কিশোয়ারের বাবা-মা, আর সেটা তারা নিজের সন্তানদেরও ধারণ করতে উৎসাহিত করেছেন।
Post a Comment