সঙ্গী কুৎসিত হলেই রহস্যময় বড় ডিম দেয় এই পাখি
ODD বাংলা ডেস্ক: পশু-পাখিদের মধ্যে অনেক প্রজাতি অদ্ভুত সব আচরণের জন্য বেশ পরিচিত। বসবাস, খাবার অভ্যাস, সঙ্গী খোঁজা, প্রজননরীতি নানা কারণে প্রজাতিভেদে অদ্ভুত আচরণ করে থাকে তারা, যা সবাইকেই বেশ অবাক করে থাকে। সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক পাখিই বিশেষ ক্রিয়াকলাপ করে। তবে নারী জেব্রা ফিঞ্চ পাখির একটি স্বভাব বেশ অদ্ভুত। তাদের সঙ্গী দেখতে খারাপ হলেই রহস্যময় বড় ডিম দেয়।
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশীয় অঞ্চলে জেব্রা ফিঞ্চ পাখির বসবাস। উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় এদের দেখা মেলে বেশি। ঠাণ্ডা ও আদ্র আবহাওয়া থেকে দূরে থাকে এই পাখি। সাধারণত একই স্থানে অনেকগুলো জেব্রা ফিঞ্চ বাসা বাঁধে। এরা বিশ্রাম করা ও প্রজননের ভিন্ন ভিন্ন বাসা তৈরি করে।
জেব্রা ফিঞ্চের জীবনকাল সাধারণত ৫ থেকে ৯ বছরের মধ্যে। তবে ১২ বছর কিংবা তারও বেশি সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকার উদাহরণ আছে। পুরুষ ও নারী জেব্রা ফিঞ্চের আকার অনেকটা একই রকম। তবে পরিপক্ব বয়সে পৌঁছালে পুরুষ ও নারী সহজেই আলাদা করা যায়। কারণ পুরুষদের সাধারণত উজ্জ্বল কমলা গালের পালক থাকে।
তবে এই পাখির ক্ষেত্রে সব থেকে বিষয় হলো এদের কিছু প্রজাতির প্রজননরীতি। একটি গবেষণা অনুযায়ী, নারী জেব্রা ফিঞ্চ পাখিটি তার সঙ্গীকে দেখতে খারাপ হলে বাচ্চার জন্য চিন্তা করে থাকে। কারণ সে চায় না তার ছানাগুলোও দেখতে খারাপ হোক।
আর এ কারণেই নারী জেব্রা ফিঞ্চ অতিরিক্ত ডিম্বাশয় এবং ভিটামিন দিয়ে তুলনামূলকভাবে বড় ডিম দেয়, যাতে বাবার শরীরের ঘাটতিগুলো পূরণ করে ছানাগুলো দেখতে সুন্দর হয়। তবে দেখতে খারাপ হলেও এই পাখি সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যায় না। এরা সাধারণত এক সঙ্গীর সঙ্গেই জীবন কাটায়।
বড় ডিম দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী জেব্রা ফিঞ্চ তাদের ডিমগুলোতে বেশি টেস্টোস্টেরন রাখে। গবেষকরা মনে করেন, এতে জেব্রা ফিঞ্চের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে এবং মায়ের জিনগুলো তার মধ্যে বেশি প্রভাব বিস্তার করে।
গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন, দেখতে খারাপ পুরুষ পাখিদের সঙ্গী নারী পাখিদের ডিমগুলোতে টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে সব সময়ই যে নারী পাখিদের বড় দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হয় তা নয়, বরং কিছু সময় ফলাফল হিতে বিপরীতও হয়।
Post a Comment