নারী-পুরুষ কারো সঙ্গেই যৌন সম্পর্কে আগ্রহী না যারা
ODD বাংলা ডেস্ক: যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে কোনো আকর্ষণই পাচ্ছেন না তানজিলা। অথচ বিয়ের পর বেশিরভাগ নারী ও পুুরুষের গল্পটি একেবারেই আলাদা। তানজিলার কাছে অনুভূতিটা এমন যে, কারো প্রতিই আকর্ষণ বোধ করি না!
তানজিলা নামটি ছদ্মনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যৌন সম্পর্কের বিষয়টি তার কাছে ধর্ষণের মতো মনে হতো। নাম ও পরিচয় গোপন রেখে নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই বর্ণনা করেন এক নারী।
তানজিলা বলেন, যৌনতায় তার এই অনাগ্রহের কথা স্বামীকে জানালে স্বামী আরও বেশি জোর-জবরদস্তি শুরু করেন। যেটা তার কাছে যৌন নির্যাতনের মতো মনে হয়। প্রায় সাড়ে সাত বছর ধরেই তিনি এর ভুক্তভোগী।
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা যৌন সম্পর্ক স্থাপনে কোন আগ্রহ পান না। তারা নারী কিংবা পুরুষ কোন লিঙ্গের মানুষের প্রতিই আকর্ষণ বোধ করেন না। এ ধরণের ব্যক্তিদের এসেক্সুয়াল বা অযৌনচিত্ত বলা হয়।
কিন্তু এসব এসেক্সুয়াল ব্যক্তিদের অনুভূতিগুলো কেমন হয়? যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তাদের এই অনাগ্রহের কারণে তাদের কী ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কিংবা সমাজ বা পরিবার তাদের কী চোখে দেখে?
ওই নারী বলেন, এমনিতেই অনেকে বলে যে বাঙালি মেয়েদের যৌন আগ্রহ কম থাকে। কিন্তু বিয়ের পরে ঘাটাঘাটি করে জানলাম আমি এসেক্সুয়াল। স্বামীকে এটা জানানোর পর সে বললো, আমারওতো একটা চাহিদা আছে; আমি সেক্সুয়াল পার্সন। তখন সে বলতো, তুমি অন্য স্টাইলে চেষ্টা করো।
এসেক্সুয়ালিটি কি?
নারী ও পুরুষের যৌন চেতনায় বিরাট একটা পার্থক্য আছে তাদের এসেক্সুয়ালিটি নিয়ে। এসেক্সুয়ালিটি হলো একটি সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন যা ১ শতাংশের কাছাকাছি নরনারী LGBTQ-এর মতই জন্মগত ভাবে পেয়ে থাকে।
তাদের বৈশিষ্ট হলো, তারা কোনো জেন্ডারের প্রতিই সেক্সুয়ালি এট্রাকটেড অনুভব করে না। তারা ইম্পটেন্ট নয়, শারীরিক ভাবে যৌন মিলনে খুবই সক্ষম। তারা ব্রহ্মচারীও নন আবার, একই বা বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু-বান্ধবও থাকে। কিন্তু তারা তাদের কারো সঙ্গে যৌনতা ইনক্লুসিভ কোনো রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ান না বা জড়াতে পারেনই না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞান এখনও যৌনতাহীন বা যৌন আকর্ষণ বোধ না করার কারণ নির্ণয় করতে পারেননি। এ ধরনের ব্যক্তিরা শারীরিক সব লক্ষণ ঠিক থাকার পরও যৌনতায় কোনো আকর্ষণ বোধ করেন না। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর পেছনে মানবদেহের জিনের ভূমিকা থাকতে পারে।
Post a Comment