ঘোড়াকে লাথি মারায় স্কুল থেকে বহিষ্কার শিক্ষিকাকে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষিকাকে ঘোড়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আর এই কারণে তার চাকরি হারাতে হয়। জানা যায়, ঐ শিক্ষিকা একটি ঘোড়াকে লাথি মেরেছিলেন। ইন্টারনেটে এই ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। আর তার জেরেই চাকরি গিয়েছে ঐ শিক্ষিকার। 

এখানেই শেষ নয়, ঐ নারীর বিরুদ্ধে প্রাণী অপব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগও আনা হয়েছে বলে জানা যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের লিচেস্টারশায়ারে। অভিযুক্ত ঐ নারীর নাম সারা মোল্ডস। পেশায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। তার বয়স ৩৭ বছর। সারা মোল্ডস নামে ঐ নারীর দুই সন্তান রয়েছে।


আরো পড়ুন: ভিডিও কলে রোমান্স করার সময় বিপাকে পড়ে তরুণী হাসপাতালে


চলতি বছরের শুরুতেই তিনি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে অশ্বারোহণের ব্যবস্থাও ছিল। সারা মোল্ডস ঐ অনুষ্ঠানেই ঘোড়ার পিঠে চড়তে যান। তবে না পারায় তিনি রেগে গিয়ে একটি ঘোড়াকে লাথি মারেন। ঠিক সেই মুহূর্তের ভিডিওটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ আপলোড করে দেয় এবং মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। 


আর সেই ভিডিওটিতে নজর পড়তেই সারা মোল্ডসরের বিরুদ্ধে সরব হয় বিশ্বের বৃহত্তম অশ্বারোহী যুব সংগঠন পনি ক্লাব। এই সংগঠন সারা মোল্ডসরের এই ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করে বিষয়টি তার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর দীর্ঘ ৬ সপ্তাহ ধরে তদন্ত চলার পরে শেষমেশ স্কুল স্কুল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা সারা মোল্ডসরকেই দোষী সাব্যস্ত করে। তারপর তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি শুধু চাকরি খোয়ানোতেই থেমে থাকেনি। 


আরো পড়ুন: পাত্রীর চেয়ে বেশি সুন্দর হওয়ায় দাওয়াত পাননি বান্ধবী


প্রতিবেশীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় সারার ঐ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তিনি একাধিক হুমকি ফোন পেতে শুরু করেন। এমনকি অনেকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়। তাই শেষমেশ সারা তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে কোনো অজানা জায়গায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.